রাফাল দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বিরুদ্ধে। কিন্তু সিবিআইয়ের শীর্ষ স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ ও দ্বন্দ্ব নিয়ে সরকারের সমালোচনাই করলেন তিনি। আজ মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে পওয়ার বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী সরকার ব্যর্থ। তা না হলে সিবিআইয়ের শীর্ষ স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠত না। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চুপ করে আছেন। তাঁকে পদক্ষেপ করতে হবে।’’
রাফাল নিয়েও আজ মুখ খুলেছেন শরদ। তাঁর কথায়, ‘‘রাফাল চুক্তি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। তাই যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত প্রয়োজন। তবে দুর্নীতি হয়েছে কি না আমি জানি না। রাহুল গাঁধীর কাছে হয়তো দুর্নীতি নিয়ে তথ্য রয়েছে।’’
গত কালই শীর্ষ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম জানিয়েছেন, রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লোকসভা ভোটে লড়ছে না কংগ্রেস। বিভিন্ন দলের জোট গড়ে বিজেপিকে সরানোই যে লক্ষ্য তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। পওয়ারের কথায়, ‘‘চিদম্বরম যা বলেছেন তা কংগ্রেসের অবস্থান। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়নি, প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে তিনি চিন্তিত।’’ এনসিপি প্রধানের কথায়, ‘‘জাতীয় স্তরে সব বিরোধী দল একজোট হয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরোধিতা করবে বলে আমি মনে করি না। তা ছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রভাব বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ডু, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতার প্রভাবকে মেনেই জোট করতে হবে। আবার কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানা ও পঞ্জাবের মতো রাজ্যে কংগ্রেসই মূল বিরোধী শক্তি।’’
বিজেপি নরেন্দ্র মোদী ছাড়া অন্য কোনও নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করলে পওয়ার মত বদলাতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে বিরোধীদের একাংশের। আজ নিতিন গডকড়ী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় পওয়ারকে। পওয়ার জবাবে বলেন, ‘‘বিজেপির কাউকেই আমি সমর্থন করব না।’’ একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এইচ ডি গৌ়ড়া, ইন্দ্রকুমার গুজরালের মতো নেতারা আকস্মিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। আমি এমন ঘটনার অংশীদার হতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy