Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Shashi Tharoor

কেজরীবালকে ‘নপুংসক’ বলে নেটিজেনদের রোষে, ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর

তবে যে ভাবে তারুর ক্ষমা চেয়েছেন, তা অনেকেরই পছন্দ হয়নি।

ক্ষমা চাইলেন শশী। —ফাইল চিত্র।

ক্ষমা চাইলেন শশী। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:২৯
Share: Save:

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে ‘নপুংসক’ বলে নেটিজেনদের রোষে পড়লেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি। তবে তাতেই বিতর্ক থামছে না। সমগ্র এলজিবিটি গোষ্ঠীর মানুষের কাছে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে আলোচনা চলাকালীন সোমবার একটি সংবাদমাধ্যমে কেজরীবালের তীব্র সমালোচনা করেন শশী তারুর তিনি বলেন, ‘‘দু’নৌকোয় পা রেখে চলতে চাইছেন কেজরীবাল। সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে মুখ খুললেও, এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি। তা নিয়ে প্রতিবাদে নেমে রাজ্যে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁদের সমবেদনাও জানাননি। অন্য কোনও রাজ্যে পড়ুয়াদের এ ভাবে মারধর করা হলে, সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের কাছে ছুটে যেতেন, উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। আসলে দায়িত্ব ছাড়াই ক্ষমতা ভোগ করতে চান কেজরীবাল, দীর্ঘকাল ধরে যা নপুংসকরা যেমনটা করে আসছেন।’’

তারুরের টুইট।

তারুরের এই মন্তব্যে ফুঁসে ওঠেন নেটিজেনরা। অবিলম্বে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি ওঠে। তাতে সোমবারই টুইটারে সকলের কাছে ক্ষমা চান তারুর। তিনি লেখেন, ‘‘আমার দায়িত্ব ছাড়া ক্ষমতা মন্তব্যে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। ব্রিটিশ রাজনীতিতে প্রবাদটি প্রচলিত। কিপলিং, প্রধানমন্ত্রী স্ট্যানলি বল্ডউইন এমনকি সম্প্রতি টম স্টপার্ডের মুখেও সেটি শোনা গিয়েছে। তবে আজকের দিনে সেটি ব্যবহার করা উচিত হয়নি।’’

তবে যে ভাবে তারুর ক্ষমা চেয়েছেন, তা অনেকেরই পছন্দ হয়নি। তাঁদের দাবি, ‘দায়িত্ব ছাড়া ক্ষমতা’ মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেও, ‘নপুংসক’ মন্তব্যের জন্য কোনও অনুশোচনাই প্রকাশ করেননি তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE