শীলা দীক্ষিতের শেষকৃত্যে তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। পাশে সনিয়া গাঁধী। রবিবার দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
দিল্লির পরিবেশ দূষণ রুখতে উদ্যোগী শীলা দীক্ষিতই রাজধানীতে সিএনজি-র ব্যাপক ব্যবহারের নকশা তৈরি করেন। মৃত্যুর পরেও যাতে তাঁর দাহের জন্য পরিবেশের কোনও ক্ষতি না হয় সে দিকে নজর রেখে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাই আজ নিগমবোধ ঘাটে তাঁর দাহকার্য হল সিএনজি-তে।
আজ ভোর থেকেই পূর্ব নিজামুদ্দিনের বাসভবনে শীলার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান দিল্লির আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এর পর ট্রাকে করে শীলার দেহ নিয়ে আসা হয় ২৪ নম্বর আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে। সেখানে তখন কয়েক হাজার কংগ্রেস কর্মীর ভিড়। শেষ শ্রদ্ধা জানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ থেকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। ছিলেন অজয় মাকেন, কপিল সিব্বল, অরবিন্দ সিংহ লাভলি-র মতো কংগ্রেস নেতা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল।
এর পর মরদেহ নিয়ে আসা হল শ্মশানঘাট নিগমবোধে। সঙ্গে চলল ভিড় এবং উচ্চকিত সেই বিখ্যাত শ্লোগান— ‘যব তক সূরজ চাঁদ রহেগা শীলাজি কি নাম রহেগা।’’ সনিয়া গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী–সহ অসংখ্য কংগ্রেস নেতা-কর্মীর সামনে গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানালো হল শীলাকে। দুপুর আড়াইটেয় তাঁর প্রিয়তম শহর দিল্লির সবচেয়ে পুরনো এই শ্মশানঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল শীলার।
দৃশ্যতই শোকাহত সনিয়া গাঁধী বললেন, ‘‘উনি ছিলেন আমার বড় দিদির মতো। বিরাট ভরসার জায়গা। ওঁর চলে যাওয়া কংগ্রেসের বড় ক্ষতি। আমি ওঁকে কখনই ভুলতে পারব না।’’ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানালেন, ‘‘প্রত্যেকেই এটা মানেন যে দিল্লি তাঁর চেয়ে ভাল মুখ্যমন্ত্রী আর পায়নি।’’ গত কালই শীলার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে রাহুল গাঁধী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy