উদ্ধব ঠাকরে ও আব্দুল সাত্তার।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নভেম্বরের শেষে শপথ নিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই হোঁচট খেল মহারাষ্ট্রের মহা আঘাডি জোট সরকার। সূত্রের খবর, পদ মর্যাদায় খুশি না হওয়ায় মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শিবসেনা বিধায়ক আব্দুল সাত্তার। তবে, তাঁর পদত্যাগপত্র এখনও গৃহীত হয়নি বলেই শিবসেনা সূত্রে খবর।
মহারাষ্ট্রে ভোটের ঠিক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়েছিলেন অউরঙ্গাবাদের নেতা আব্দুল সাত্তার। ভোটে জয়ের পর তাঁকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণও করেন তিনি। কিন্তু, সূত্রের খবর, ওই পদ না-পসন্দ ছিল আব্দুল সাত্তারের। এর পরেই তিনি পদত্যাগ করেন। শিবসেনা নেতা একনাথ শিণ্ডে অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘আমরা তাঁর পদত্যাগপত্র পাইনি।’’
আব্দুল সাত্তারকে নিয়ে আচমকা যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে তার আঁচ পৌঁছেছে শিবসেনার অন্দরে। তা নিয়ে কিছুটা বোঝানোর ঢঙেই শিবসেনার আর এক নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন,‘‘যখন মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হয়, তখন কেউ কেউ পছন্দ মতো পদ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদেরও বুঝতে হবে, এটা মহা আঘাডি জোটের সরকার, কেবলমাত্র শিবসেনার নয়।’’ এর পরেই সঞ্জয় যোগ করেছেন, ‘‘বাইরে থেকে এলেও আব্দুলকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।’’ জট কাটাতে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এ নিয়ে আব্দুল সাত্তারের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন সঞ্জয়।
মহারাষ্ট্রে মহা আঘাডি জোট সরকারের শরিকদের মধ্যে দফতর বণ্টন নিয়ে মতভেদ অবশ্য এই প্রথম নয়। দফতর ভাগ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, অ-বিজেপি সরকার তৈরির প্রথম থেকেই দফতর বণ্টন নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে।
যাঁকে নিয়ে আচমকা ‘বিভ্রাট’, সেই আব্দুল সাত্তার অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি। এর মধ্যেই তাঁর পুত্র সমীর সাত্তার দাবি করেছেন, ‘‘আমার কাছে এ নিয়ে কোনও খবরই নেই। এক মাত্র তিনিই এ ব্যাপারে বলতে পারেন এবং আমি নিশ্চিত, তিনি নিজে খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে বলবেন। ভাল হবে, বিষয়টি দেখা এবং অপেক্ষা করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy