Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
National Youth Parliament Festival 2021

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা, মায়ের কথা শ্রাবণীর

রাজ্য স্তরে যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে শ্রাবণী জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছিলেন।

শ্রাবণী মান্না

শ্রাবণী মান্না

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৫৬
Share: Save:

ছোটবেলাতেই বাবা মারা গিয়েছেন। মা নমিতা মান্না কসবায় দুঃস্থ শিশুদের হোমে রান্না করে সংসার চালিয়েছেন। তিন মেয়েকে মানুষ করেছেন। সেই পরিবারেই ছোট মেয়ে শ্রাবণী মান্না দিল্লিতে জাতীয় যুব সংসদ উৎসবে বক্তৃতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা আদায় করে নিলেন।

রাজ্য স্তরে যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে শ্রাবণী জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছিলেন। আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীতে সংসদের সেন্ট্রাল হলে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিজেও বক্তৃতা দিয়েছেন। হাজির ছিলেন লোকসভার স্পিকার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদরা। সেখানেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ভাবনা নিয়ে শ্রাবণী বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রাবণীর বক্তৃতার ভিডিয়ো টুইট করে তাঁর প্রশংসা করেন। মোদী লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের শ্রাবণী মান্না খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের আত্মনির্ভরতার ভাবনা আরও প্রতিযোগিতামূলক ও উৎপাদনশীল অর্থনীতি গড়ে তুলবে। যার ফলে বিশ্ব উপকৃত হবে।’’

বাগনানের বাসিন্দা শ্রাবণী হাওড়ার শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হন। সেখানে তাঁর ‘মেন্টর’ ছিলেন বিভাগীয় প্রধান সৈকত মান্না। ছাত্রীর সাফল্যে তিনিও উচ্ছ্বসিত। এ বছর শ্রাবণী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহ দত্ত কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর হন। শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ সন্তুকুমার বসু বলেন, ‘‘শ্রাবণী প্রথম থেকেই ভাল বক্তৃতা করে।’’

শ্রাবণী নিজে অবশ্য তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব পুরোটাই মা’কে দিতে চান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার মায়ের কথা যদি লেখা হয়, তা হলেই ভাল লাগবে। আমি যতটুকু করতে পেরেছি, সব মায়ের জন্য। মা কসবার নিউ মার্কেটের একটি হোমে ছেলেমেয়েদের জন্য রান্না করেন। বাবা না থাকলেও তিনিই আমাদের মানুষ করেছেন।’’

শ্রাবণী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর ভাবনা কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য নয়। স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য। উপনিষদ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে শ্রাবণী বলেন, গত ৭০ বছরে দেশীয় শিল্পকে অবহেলা করা হয়েছে। স্বাধীনতার পরে নেহরুর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি অনুসরণ করেছে ভারত। তারপরে উদারিকরণের পথে হেঁটেছে। কিন্তু তাতে চাকরিহীন আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে। বক্তৃতার শেষে ‘জয় হিন্দ, জয় ভারত’ বলে স্যালুট করেন শ্রাবণী। হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা সেন্ট্রাল হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE