সাংবাদিক শুজাত বুখারি। ছবিটি তাঁর টুইটার থেকে নেওয়া।
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার নির্দেশেই খুন করা হয়েছে ‘রাইজিং কাশ্মীর’ পত্রিকার সম্পাদক শুজাত বুখারিকে। আর এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে পাকিস্তানে বসেই। বৃহস্পতিবার কাশ্মীর পুলিশের তরফে এই দাবি করা হয়েছে।
শ্রীনগরে কাশ্মীর পুলিশের সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে আইজি স্বয়মপ্রকাশ পানি চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘লস্কর-ই-তৈবার এই চার জঙ্গিই শুজাত হত্যার সঙ্গে জড়িত।পাকিস্তানে বসেই সাংবাদিক বুখারিকে হত্যার ছক কষা হয়েছিল।
ওই হত্যাকাণ্ডে নাভেদ জাট ছাড়াও কাশ্মীরের শেখ সাজাদ গুল (পরবর্তীকালে ভুয়া পাসপোর্টের মাধ্যমে সে বর্তমানে পাক নাগরিক), বিজবেহারার আজাদ আহমেদ মালিক এবং কাজিগুন্দের মুজফফর আহমেদ ভাট নামে অপর তিন জঙ্গিও যে শুজাত হত্যায় জড়িত, তা স্পষ্ট করে জানান তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে আইজি স্বয়মপ্রকাশ পানি। ছবি: এএফপি
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীনগরের হাসপাতালে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়েছিল নাভেদ জাট নামে ওই পাকিস্তানি জঙ্গি। নাভেদ যে সাংবাদিক শুজাত বুখারির একজন খুনি এ কথা জানা গিয়েছিল আগেই। আইজিপি বলেন, হত্যার পরিকল্পনা যাতে সহজ হয়, সেই কারণেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়ানো হয়েছিল বুখারির বিরুদ্ধে। এভাবেই সাংবাদিক হত্যার আগেই ‘সাইকোলজিক্যাল গ্রাউন্ড’-ও তৈরি করেছিল জঙ্গিরা। আর সেটাও পাকিস্তানে বসেই।
শেখ সাজাদ গুল, আজাদ আহমেদ মালিক, মুজফফর আহমেদ ভাট, নাভেদ জাট (বাঁদিক থেকে)
গত ১৪ জুন শ্রীনগরে নিজের অফিসের সামনে আততায়ীদের বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন ‘রাইজিং কাশ্মীর’পত্রিকার সম্পাদক শুজাত বুখারি। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তাঁর দুই ব্যক্তিগত দেহরক্ষীও। তাঁর দেহে ১৭টি বুলেটের আঘাত ছিল। বাইক আরোহী নাভেদ ও অপর দুই জনের বন্দুক থেকে চালানো গুলিই এসে ঝাঁঝরা করে দেয় শুজাতকে।
আরও পড়ুন: শুজাত খুনে তিন আততায়ীকে চিহ্নিত করল পুলিশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy