Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

স্কুলের ফি দিতে পারেনি বলে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হল দুই শিশুকে!

দু’টি শিশুর পরিবার খুব গরিব। কিন্তু শিশুদু’টির মা, বাবা তাদের লেখাপড়া শেখাতে চান বলেই পাঠিয়েছিলেন স্কুলে। কিন্তু শিশুদু’টির ইউনিফর্ম কিনতে ও ফি জমা দিতে পারেননি বাবা গত কয়েক মাসে। কিছু দিন আগে তা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন শিশুদু’টির বাবা। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।

বিহারের সেই স্কুল। ছবি: পিটিআই।

বিহারের সেই স্কুল। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৭ ১৫:১১
Share: Save:

বাবা স্কুলের ফি জমা দিতে পারেননি বলে বিবস্ত্র করা হল দুই বোনকে। আর প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় স্কুল থেকে হেঁটে তাদের বাড়ি ফিরতে বাধ্য করা হল। শুক্রবারের ঘটনা। পটনার ১২৫ কিলোমিটার পূর্বে বিহারের বেগুসরাইয়ের গ্রামে একটি বেসরকারি স্কুলে। দুই বোনের এক জন পড়ে নার্সারিতে, অন্য জন ক্লাস ওয়ানে। গ্রামের রাস্তায় দুই বোনকে প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় নতমুখে হাঁটতে দেখে গ্রামেরই এক মহিলা এসে দু’টি শিশুকে নিয়ে যান তাঁর বাড়িতে।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দু’টি শিশুর পরিবার খুব গরিব। কিন্তু শিশুদু’টির মা, বাবা তাদের লেখাপড়া শেখাতে চান বলেই পাঠিয়েছিলেন স্কুলে। কিন্তু শিশুদু’টির ইউনিফর্ম কিনতে ও ফি জমা দিতে পারেননি বাবা গত কয়েক মাসে। কিছু দিন আগে তা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন শিশুদু’টির বাবা। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।

ওই ঘটনার জেরে বেসরকারি স্কুলটির প্রিন্সিপাল, এক জন শিক্ষক সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুদু’টির বাবা চুনচুন শাহের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে তিন জনকে।

আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি প্রার্থীটি ঠিক কে? মিটছে না রহস্য-রোমাঞ্চ

এ দেশে এমন ঘটনার নজির অবশ্য আরও আছে। নোটবন্দির পর বাবা স্কুলের ফি জমা দিতে পারেননি বলে গত জানুয়ারিতে হায়দরাবাদের এক স্কুলছাত্র অপমানে আত্মঘাতী হয়েছিল। গত বছর হায়দরাবাদেরই একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র ফি জমা দিতে পারেনি বলে পরীক্ষার হল থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE