মুম্বইয়ের অনুষ্ঠানে স্মৃতি ইরানি। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই
সব বয়সের মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়েছে অন্তত ১৯টি। আগামী ১৩ নভেম্বর বিকেল তিনটেয় সেই সব আবেদন শুনবে বলে আজ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
‘ন্যাশনাল আয়াপ্পা ডিভোটিজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি শৈলজা বিজয়ন রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর বক্তব্য, বিশ্বাসকে কখনও যুক্তি বা বিজ্ঞান দিয়ে বিচার করা যায় না।
শবরীমালা নিয়ে এ দিন মন্তব্য করে আর এক প্রস্ত বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমি কথা বলতে পারি না। কারণ আমি নিজে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু এটা তো সাধারণ বুদ্ধির ব্যাপার। আপনি কি ঋতুস্রাবের রক্তে
ভেজা ন্যাপকিন নিয়ে বন্ধুর বাড়িতে যান? যান না। তা হলে আপনি কি ঈশ্বরের ঘরে ঢোকার সময়ে এমন কাজ করবেন?’’
গত সপ্তাহে শবরীমালায় প্রতিবাদী এক মহিলা স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে ঢুকতে যাওয়ায় আলোড়ন তৈরি হয়েছিল বলে একাংশের অভিযোগ। যদিও ওই মহিলা বিষয়টি স্বীকার করেননি। স্মৃতির এই মন্তব্যের পিছনে রয়েছে সেই ঘটনাই। এর পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘আমার প্রার্থনা করার অধিকার আছে। কিন্তু অশ্রদ্ধা করার কোনও
অধিকার নেই। এটুকুই তফাৎ। সেটা আমাদের বুঝতে হবে এবং সম্মান জানাতে হবে।’’
গত কালই বন্ধ হয়ে গিয়েছে আয়াপ্পার মন্দির। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও গত বুধবার থেকে মন্দির খোলা সত্ত্বেও কোনও ঋতুমতী কিশোরী ও মহিলা এ মাসে বিগ্রহ দর্শনের সুযোগ পাননি। বিক্ষোভ আর প্রতিবাদেই কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। হেনস্থা হতে হয়েছে বেশ কয়েক জন মহিলা ভক্তকে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এ দিন সব কিছুর জন্য আঙুল তুলেছেন, বিজেপি এবং আরএসএস-এর দিকে। তিনি বলেছেন, ওই দুই গোষ্ঠীর ‘গুপ্ত ষড়যন্ত্র’ই মন্দিরের শান্তি নষ্ট করছে। বিজয়নের অভিযোগ, রাজ্যে অশান্তি তৈরির জন্য ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পরিকল্পিত চেষ্টা’ করা হচ্ছে। সঙ্ঘ পরিবারের লোকজন ভক্তদের ভুল পথে চালিত করছে।
বিরোধী কংগ্রেসকেও বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, বিজেপি-কংগ্রেস মিলে রাজনীতি করছে। কংগ্রেসের কেউ কেউ আরএসএসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে। এটা ‘ভয়ঙ্কর প্রবণতা’ বলে মনে করছেন বিজয়ন। তাঁর দাবি, শবরীমালায় শান্তি এবং সৌহার্দ্য রক্ষায় যা যা প্রয়োজন, সবই করবে সরকার। কারণ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ বলবৎ করার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যের উপরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy