Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ডাকলেন সনিয়া

কেন্দ্রে মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে যখন ইউপিএ সরকার চলেছে, কেন্দ্র বিরোধিতায় তখন অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। সরকারের নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি, পণ্য পরিষেবা কর চালুর মতো সংস্কারের পথ আটকে দাঁড়িয়েছিলেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৫ ০৩:০৬
Share: Save:

কেন্দ্রে মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে যখন ইউপিএ সরকার চলেছে, কেন্দ্র বিরোধিতায় তখন অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। সরকারের নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি, পণ্য পরিষেবা কর চালুর মতো সংস্কারের পথ আটকে দাঁড়িয়েছিলেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এখন বিজেপি জমানায় কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীদের তেমনই আগ্রাসী ভূমিকায় দেখতে চাইছেন সনিয়া-রাহুল।

আগামী মঙ্গলবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের দিল্লিতে বৈঠকে ডেকেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। বৈঠকে থাকবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং রাহুল গাঁধীও।

তার আগে কংগ্রেসের এক সাধারণ সম্পাদক জানান, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের সংখ্যা এখন আগের মতো নেই। কেরল, কর্নাটক, অসম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে ফেলতে এই সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়।

যেমন বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি প্রশ্নে মোদী সরকারকে চেপে ধরেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তাঁর আপত্তিতেই অসমকে চুক্তির আওতায় রাখতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। রাজ্য স্তর থেকে দিল্লির উপর এই চাপ আরও বাড়াতে চান কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প থেকে শুরু করে আরও অনেক নতুন প্রকল্প ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেছে বিজেপি সরকার। কিন্তু তাতে অর্থ বরাদ্দ ঠিকমতো হচ্ছে না। ইউপিএ আমলে শুরু হওয়া বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পগুলিতেও টাকার বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। এর জেরে ভুগতে হচ্ছে রাজ্যগুলিকেই। সনিয়া তাই চাইছেন, কেন্দ্রের এই খামতি নিয়ে সরব হন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরা। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ, অনাবৃষ্টি হলে ভর্তুকির মতো দাবিও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির তোলা উচিত বলেও মনে করেন দলীয় সভানেত্রী।

কংগ্রেসের নেতাদের অনেকের মতে, সামাজিক প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ কমানোয় বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও ভিতরে ভিতরে অসন্তুষ্ট। কিন্তু প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানানোর উপায় নেই তাঁদের। সনিয়া-রাহুল চাইছেন, সেই, সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা এ বার আক্রমণাত্মক প্রচারে নামার কাজ শুরু করে দিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE