Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রসঙ্গ সংখ্যালঘু ভোটাধিকার

রাউতকে কটাক্ষ শোভার, বিতর্ক বাড়ালেন সাক্ষী

সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া নিয়ে শিবসেনার তৈরি করা বিতর্কে সোমবারও সরগরম রাজনীতির ময়দান। দলীয় মুখপত্র সামনায় গত কাল শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত লিখেছেন, ভোটের রাজনীতি হয় বলে মুসলিমদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলি এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল আগেই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি ও লখনউ শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৪
Share: Save:

সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া নিয়ে শিবসেনার তৈরি করা বিতর্কে সোমবারও সরগরম রাজনীতির ময়দান।

দলীয় মুখপত্র সামনায় গত কাল শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত লিখেছেন, ভোটের রাজনীতি হয় বলে মুসলিমদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলি এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল আগেই। এ বার টুইটারে মুখ খুললেন শোভা দে। কাল মহিলাদের টেনিস ডাবলস র‌্যাঙ্কিয়ে এক নম্বর খেলোয়াড় হন সানিয়া মির্জা। টুইটারে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শোভা দে লিখেছেন, ‘‘সানিয়া মির্জা: আন্তর্জাতিক তারকা। ভারতের গর্ব। মানুষের বড় আদরের। আশা করি, সে এর পরও ভোট দিতে পারবে!’’

কটাক্ষ, প্রবল সমালোচনার মধ্যেই আবার শরিক দলের নেতার বিতর্কিত মন্তব্য থেকে গা বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু সোমবার জানান, ভোট দেওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। তা তুলে নেওয়ার আলোচনা করাটাও অসাংবিধানিক। তবে বিজেপি যতই অস্বস্তি এড়ানোর চেষ্টা করুক না কেন, সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছেন দলেরই এক সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। উন্নাওয়ে একটি অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে বলতে গিয়ে ঘুরেফিরে সেই ভোটাধিকার কাড়ার দাওয়াই দিয়েছেন সাক্ষী। তাঁর দাবি, দেশে যে ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সব সম্প্রদায়ের জন্যই এক আইন থাকা উচিত। কেউ তা না মানলে সহজ সমাধান— ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া। সাক্ষীর কথায়, ‘‘আমি বলছি না, সংখ্যালঘুদের বন্ধ্যকরণ করাতে। কিন্তু যখন কারও চার স্ত্রী ও চল্লিশ সন্তান থাকে, তখন আর কী-ই বা বলার থাকে।’’

ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা ব্যবহার করা হবে না বলে ক’দিন আগে সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে হয়েছিল খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু তার পরও সংখ্যালঘুদের প্রতি মনোভাব যে বিশেষ বদলায়নি, সঞ্জয় রাউত-সাক্ষী মহারাজদের বিতর্কিত মন্তব্য প্রমাণ করে দিল সেটাই। তবে বিরোধীরা অবশ্য রেয়াত করতে রাজি নন রাউতকে। রাজ্যসভার সদস্য হয়েও ওই শিবসেনা নেতা কী ভাবে এমন কথা বলেন সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করায় রাউতের রাজ্যসভার সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হোক। তিনি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন এই অভিযোগ জানিয়ে আজ লখনউয়ে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেছিলেন এক আইএএ। তাঁকে সঞ্জয় রাউতের নামে অভিযোগ নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট সুনীল কুমার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE