Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

কুর্সি বাঁচাতে নিজস্ব ফৌজ বিজেপির

মোদী-মোদী-মোদী…। ভোটের আগে ‘মোদী-নাম’ জপ করতে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের ‘নির্দেশে’ শুরু হল অভিযান— ‘মোদী ফর পিএম’। নেপথ্যে বিজেপিরই নেতারা।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩৭
Share: Save:

মোদী-মোদী-মোদী…। ভোটের আগে ‘মোদী-নাম’ জপ করতে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের ‘নির্দেশে’ শুরু হল অভিযান— ‘মোদী ফর পিএম’। নেপথ্যে বিজেপিরই নেতারা।

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের সেমিফাইনালে ফল কী হবে, স্পষ্ট জানা নেই। কিন্তু এই ভোটে যা-ই হোক, ‘ফাইনাল’ অর্থাৎ লোকসভা ভোটে ফের নরেন্দ্র মোদীকেই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানোর অভিযান শুরু হল আজ থেকে। গত লোকসভার ভোটের আগেই ব্র্যান্ড-মোদীতে শান দিতে ‘মোদী ফর পিএম’ সংগঠন গড়ে উঠেছিল। এখন তাদের সক্রিয় সদস্য প্রায় ১২ হাজার। আর ‘নিষ্ক্রিয়’ দেড় লক্ষ। শহরে-গ্রামে, জেলা-মহল্লায় এ বারে সকলকে ফের সক্রিয় করে নামছে নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ ‘ফৌজ’।

সংগঠনের সহ-আহ্বায়ক শৈলেন্দ্র সিংহ বুক চাপড়ে বলছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় থেকে নির্দেশ এসেছে, একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত প্রচারকে নিয়ে যেতে হবে। রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা শুধু এক জনকেই চিনি। নরেন্দ্র মোদী। আমরা শুধু তাঁরই ডঙ্কা বাজাই। শুধু ২০১৯ নয়, ২০২৪ সালেও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার পণ করে এগোচ্ছি।’’

নির্বাচন কমিশন এখন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট নিয়ে ব্যস্ত। লোকসভা ভোটের জন্য প্রস্তুতির নামগন্ধ নেই। কিন্তু নিজেদের সদস্যদের প্রচারের রোডম্যাপ জানিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি। তাদের ঘোষণা, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে কিংবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে লোকসভার ভোটের দিন ঘোষণা হবে। তার আগেই গোটা দেশে সদস্যদের ছড়িয়ে পড়তে হবে। মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রী বানাতে কোন জায়গায় প্রচারের কী কৌশল দরকার, সেটিও ছকে ফেলতে হবে। মুখে যদিও বলছেন, রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু দিল্লিতে আজ একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। সেখানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন মোদী সরকারের মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর, বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখি-সহ বিজেপির অনেক নেতা।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রোহিত গাঙ্গোয়াল বলেন, ‘‘আমাদের কাজ হল, মানুষের কাছে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে মেলে ধরা। তার জন্য আমাদের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন। অনেকে সেনায় ভর্তি হয়ে দেশের সেবা কিংবা খেলায় পদক আনার সুযোগ পান না। এমন ব্যক্তিদেরই দেশের সেবা করার জন্য এগিয়ে আসা উচিত। মোদীকে সমর্থন করা হবে কেন, তার জন্য একশোটি কারণও আমরা তুলে ধরছি।’’

এ সব কথা শুনে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, তা হলে কী সেনা বা খেলায় সুযোগ না পেলে শুধু কি মোদী-গান করাই একমাত্র পথ দেশের যুবকদের? বিজেপির সঙ্গে তো গোটা সংগঠন আছে, আরএসএস আছে, গোটা সরকারিতন্ত্র আছে। এর পরেও মোদীর নিজস্ব এই ফৌজের কী দরকার? দেওয়াল লিখন পড়তে পেরে এতটাই আতঙ্কে তিনি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE