Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ভোটে গরহাজির কারা, শুরু জল্পনা

রাজ্যসভায় মোট সদস্য ২৪৫। বর্তমানে পাঁচটি আসন খালি থাকায় সাংসদ রয়েছেন ২৪০ জন। চেয়ারম্যানের দফতরের হিসেব অনুযায়ী ভোট দিয়েছেন ২২৪ জন। অর্থাৎ, অনুপস্থিত ১৬ জন।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২৯
Share: Save:

নাগরিকত্ব বিল যখন পাশ হল, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু ঘোষণা করলেন, বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি। আর বিপক্ষে ১০৫। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর চেয়ারম্যানের দফতর জানাল, সংখ্যাটি আসলে পক্ষে ১২৫ আর বিপক্ষে ৯৯।

রাজ্যসভায় মোট সদস্য ২৪৫। বর্তমানে পাঁচটি আসন খালি থাকায় সাংসদ রয়েছেন ২৪০ জন। চেয়ারম্যানের দফতরের হিসেব অনুযায়ী ভোট দিয়েছেন ২২৪ জন। অর্থাৎ, অনুপস্থিত ১৬ জন।

তাঁরা কারা?

গত কাল পর্যন্ত হিসেব ছিল, সরকারের পক্ষে ভোট পড়বে ১২৮টি। পড়েছে তিনটি কম। আর বিপক্ষে পড়ার কথা ছিল ১০৯টি। বাস্তবে ১০টি কম পড়েছে। এর মধ্যে অবশ্য শিবসেনার ৩ জন অনিশ্চিত ছিলেন। আজ ভোটের ঠিক আগে তাঁরা সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। ফলে মোট ১৬ জন অনুপস্থিতের মধ্যে বাকি রইলেন ১৩ জন।

বিজেপির অনিল বালুনি অসুস্থ। অসুস্থ নির্দল অমর সিংহও। তিনি এলে ভোট বিজেপির পক্ষেই যেত। জেডিইউ-এর মধ্যে বিরোধ সত্ত্বেও ভোট সরকারের পক্ষেই গিয়েছে। কিন্তু তাদের সাংসদ মহেন্দ্র প্রসাদকে ভোটের সময় দেখেননি অনেকে।

অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরের মধ্যে এনসিপির দুই সাংসদ ছিলেন না। সমাজবাদী পার্টির বেণীপ্রসাদ বর্মাও অসুস্থ। তাদের আরও দু’জন ছিলেন না বলে সাংসদদের একাংশের দাবি। তৃণমূলের কে ডি সিংহ ছিলেন না। মায়াবতীর দলের দুই সাংসদ, আরজেডির মিসা ভারতীও অনুপস্থিত ছিলেন বলে খবর। এক নির্দল বীরেন্দ্র কুমার অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি। কংগ্রেসেরও ৪৬ জন সাংসদের মধ্যে ৩-৪ জনকে দেখা যায়নি। আবার দুপুরে সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলে।

কিন্তু সব মিলিয়ে গুলিয়ে যাচ্ছে অনুপস্থিতির সংখ্যা। প্রশ্ন উঠেছে, ক্রস ভোটিং তো হয়নি? রাত পর্যন্ত সেই হিসেবই কষছে সব দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Citizenship Amendment Bill Rajya Sabha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE