প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাচ্ছেন বেশ কয়েকটি পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত গিয়েছেন সঙ্ঘের আদর্শ ও জাতীয়তাবাদ নিয়ে স্বয়ংসেবকদের সঙ্গে আলোচনা করতে। আগামিকাল দু’জনেই থাকবেন মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে। ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথম একই দিনে বারাণসীতে থাকবেন দুই নেতা। তাঁদের বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আপাতত সরগরম রাজধানীর রাজনৈতিক শিবির।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দির গড়া নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে সঙ্ঘ। রামমন্দির গড়তে আইন তৈরির দাবি করেছেন খোদ ভাগবতই। বিজেপি সূত্রের মতে, ২০১৪ সালে জনসমর্থনের জোরে অনেক সুবিধেজনক অবস্থানে ছিলেন মোদী। তাই সঙ্ঘকেও তাঁর অবস্থান অনেকটাই মেনে নিতে হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে অর্থনীতির করুণ দশা, কাশ্মীরের হিংসার বাড়বাড়ন্ত-সহ নানা ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার জেরে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন মোদী। বিজেপি নেতাদের একাংশের মতে, তাই এখন রামমন্দির নিয়ে তাঁর উপরে চাপ অনেকটাই বাড়ানো যাবে বলে মনে করছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। আরএসএস নেতাদের একাংশের মতে, বিজেপির পক্ষে লোকসভা ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণ তৈরির চেষ্টা ছাড়া গত্যন্তর নেই। ২৫ নভেম্বর অযোধ্যা, নাগপুর, বেঙ্গালুরুতে রামমন্দির নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরএসএস। তার আগে গুজরাতের জুনাগড়ে ৫ হাজার সাধুকে নিয়ে সম্মেলন হবে। ৯ ডিসেম্বর সম্মেলন হবে দিল্লিতে। এ ভাবে ধীরে ধীরে রামমন্দির নিয়ে চাপ বাড়ানো হবে বলে সঙ্ঘ সূত্রে খবর।
এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল মোদী-ভাগবত বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। বারাণসীতে আরএসএসের ছ’দিনব্যাপী আলোচনায় আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন বিজেপির অনেক শীর্ষ নেতাই। সঙ্ঘের আলোচনায় যে রামমন্দির প্রসঙ্গ উঠবে তা ঘরোয়া আলোচনায় মেনে নিচ্ছেন আরএসএস ও বিজেপি নেতারা। কিন্তু দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন কেউই।
আগামিকাল বারাণসীর ওয়াজিদপুরে একটি বৈঠকে বক্তৃতা দেওয়ার কথা মোদীর। সেই সময়েই ওয়াজিদপুরের খুব কাছে কইরাজপুরে আরএসএস কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন ভাগবত। ফলে তখনই দুই নেতার মধ্যে কথা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে শীর্ষ বিজেপি নেতাদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সঙ্ঘ প্রধানের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক অনেক ক্ষেত্রেই এড়িয়ে যান মোদী। সঙ্ঘের অনুষ্ঠানে অন্য শীর্ষ নেতাদের পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। ভোটের আগে এখনও পর্যন্ত উন্নয়নের স্লোগানই শোনা গিয়েছে মোদীর মুখে। এই পরিস্থিতিতে তিনি কোন পথে হাঁটেন, তা-ই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy