নাগেশ্বর রাও। —ফাইল চিত্র।
সিবিআই থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় ওই গোয়েন্দা সংস্থার অতিরিক্ত অধিকর্তা এম নাগেশ্বর রাওকে। সোমবার তাঁকে দমকল, অসামরিক প্রতিরক্ষা এবং হোমগার্ড বাহিনীর ডিজি পদে বদলি করা হয়েছে।
ওড়িশা ক্যাডারের ১৯৮৬-র ব্যাচের ওই আইপিএসকে নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই বিতর্ক চলছে। সিবিআই-এর প্রাক্তন অধিকর্তা অলোক বর্মা বনাম রাকেশ আস্থানার বিরোধের মধ্যেই সিবিআইতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন নাগেশ্বর। বর্তমান সিবিআই প্রধান ঋষিকুমার শুক্লের নিয়োগের আগে সিবিআইতে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, সেই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই অধিকর্তার ভূমিকা পালন করেন তিনি। নতুন অধিকর্তা দায়িত্ব নেওয়ার পর নাগেশ্বর অতিরিক্ত অধিকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। সারদা-রোজভ্যালি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চিটফান্ড মামলার তদন্তে মুখ্য তদারকি আধিকারিক ছিলেন তিনি।
সারদা মামলায় সিবিআই আধিকারিকরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়, সেখানেও উঠে আসে নাগেশ্বর রাওয়ের নাম। ওই ঘটনার রাতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই-র বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ এনে ধর্নায় বসেন। পরবর্তীতে সিবিআই শীর্ষ আদালতে রাজীব কুমারকে জেরার আবেদন জানালে, রাজ্যের তরফে হলফনামায় উল্লেখ করা হয় যে নাগেশ্বর রাও ব্যক্তিগত আক্রোশের জায়গা থেকেই রাজীবের বাড়িতে তল্লাশির নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাজীব কুমার নিজেও সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হলফনামায় দাবি করেন যে, কলকাতা পুলিশ একটি অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নাগেশ্বর রাওয়ের স্ত্রী এবং মেয়ের যোগ খুঁজে পায়। সে কারণেই রাজীব কুমারকে পাল্টা চাপ দিতে সিবিআই তাঁকে সারদা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে চাপল এক্সাইজ ডিউটি-সেস, লিটারপিছু ২ টাকা দামি পেট্রল-ডিজেল
নাগেশ্বর রাওকে সিবিআই থেকে বদলি ঘিরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ স্তরে শুরু হয়েছে জল্পনা। একটি অংশ মনে করছে যে, নাগেশ্বরকে সরিয়ে সিবিআই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে সারদা মামলায় আরও কিছু কঠিন পদক্ষেপ করার জন্য তৈরি হচ্ছে। আবার অন্য একটি অংশের মত, নাগেশ্বর রাওকে সরানোর অর্থ রাজীব কুমারকে স্বস্তি দেওয়া।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy