Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সমর্থনে টান, ভোট তবে কি বছর শেষেই!

বিজেপি শিবিরের অনেকেরই ইঙ্গিত, বছরের শেষ দিকে রাম মন্দিরের রায় এলেই ঘোষণা হতে পারে ভোট। রাহুল গাঁধীকে পাশে নিয়ে সনিয়া গাঁধীও দলকে বছরের শেষে লোকসভার জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৮
Share: Save:

ভোটমুখী বাজেটের পরেই গুঞ্জন তীব্র হয়েছে, চলতি বছরেই কি তবে লোকসভা নির্বাচন? অরুণ জেটলি বলছেন— না। কিন্তু বিজেপি শিবিরের অনেকেরই ইঙ্গিত, বছরের শেষ দিকে রাম মন্দিরের রায় এলেই ঘোষণা হতে পারে ভোট। রাহুল গাঁধীকে পাশে নিয়ে সনিয়া গাঁধীও দলকে বছরের শেষে লোকসভার জন্য তৈরি
থাকতে বলেছেন।

কিন্তু ভোট এগোনোর অঙ্কটি কী?

সম্প্রতি দলের ‘ডেটা অ্যানালিটিক্স’ বিভাগ ঢেলে সেজেছেন রাহুল গাঁধী। দায়িত্বে আনা হয়েছে প্রবীণ চক্রবর্তীকে। তাঁদের বিশ্লেষণ, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর দেশের ১৫টি রাজ্যে ভোট হয়েছে। এই ১৫ রাজ্যে ১৯১টি লোকসভা আসন জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু পরের ভোট ফলের নিরিখে লোকসভার আসন ধরলে এখন আরও ৪৫টি কমে হয়েছে ১৪৬। যার অর্থ, গত লোকসভায় বিজেপি একার জোরে ২৮২টি আসন পেলেও এখন সেটি কমে হল ২৩৭। ২০১৪ সালের ৩৯% ভোটের হার কমে হয়েছে ২৯%।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরাকে হিরের টুকরো গড়বেন জেটলি-শাহেরা

সামনে কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যের ভোটে এই প্রবণতা বজায় থাকলে কম করে আরও ২০টি আসন কমবে। ফলে বিজেপির হাতে থাকছে ২১৭টি আসন। আর এই ক্রমাগত খসতে থাকা বিজেপির জনভিত্তি রুখতেই চলতি বছরের শেষেই মোদী লোকসভা ভোট করাতে পারেন বলে তাঁদের ধারণা। এর ভিত্তিতেই সনিয়া গাঁধী সে দিন কংগ্রেসের বৈঠকে বলেছিলেন, ‘‘২০০৪ সালের মতো ফের লোকসভা এগিয়ে আনতে পারে কেন্দ্র। সে জন্য তৈরি থাকুন।’’

সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম ধাপের শেষ দিনেও মোদী দলের সাংসদদের ভোটের জন্য তৈরি হতে বলেছেন। কিন্তু বিজেপি নেতারাই বলছেন, সব সমীক্ষাই বলছে দ্রুত কমছে দলের জনপ্রিয়তা। একার জোরে আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না বিজেপি। আর সেটাই রাতের ঘুম কেড়েছে মোদী-অমিত শাহের। গোবলয় ও পশ্চিম ভারতে আসন কমবে, পূর্ব ও দক্ষিণে বাড়ার সুযোগ কম। কারণ, আঞ্চলিক দল সেখানে শক্তিশালী। তা বুঝেই এনডিএ-র শরিক নেতারাও প্রকাশ্যে মোদী-বিরোধিতায় সরব হচ্ছেন। শিবসেনা, তেলুগু দেশম তো বটেই, অকালির মতো পুরনো শরিকও বলতে শুরু করেছে পরের সরকারে আর বিজেপির আধিপত্য চলবে না। শরিকদের উপরে নির্ভরশীলতা বাড়বে।

রাহুল গাঁধী তো ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে মোদীকেই আর প্রধানমন্ত্রী রাখতে চাইবে না শরিকরা। বিজেপিকে আরও দুর্বল করতে এনডিএ-র শরিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়িয়েছেন রাহুল। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘ভোট যখনই হোক, অঙ্ক সহজ। সব বিরোধী দল এক হলে বিজেপি আর ফিরছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE