Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কংগ্রেসের সভায় বিশৃঙ্খলা, শো-কজ জেলা সভাপতিকে

কংগ্রেসের সভায় বিশৃঙ্খলতা, নিয়মানুবর্তিতার অভাবে ক্ষুব্ধ এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক সি পি জোশী। ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও। আর তার জেরেই, ‘কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না’ এ কথা জানতে চেয়ে করিমগঞ্জের জেলা সভাপতি সতু রায়ের হাতে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরালেন প্রদেশ নেতৃত্ব। করিমগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সঞ্জীব সুরের লেখা চিঠিটি তিনি হাতে পেয়েছেন বলে সতুবাবু জানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৫ ০৩:২৯
Share: Save:

কংগ্রেসের সভায় বিশৃঙ্খলতা, নিয়মানুবর্তিতার অভাবে ক্ষুব্ধ এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক সি পি জোশী। ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও। আর তার জেরেই, ‘কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না’ এ কথা জানতে চেয়ে করিমগঞ্জের জেলা সভাপতি সতু রায়ের হাতে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরালেন প্রদেশ নেতৃত্ব। করিমগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সঞ্জীব সুরের লেখা চিঠিটি তিনি হাতে পেয়েছেন বলে সতুবাবু জানিয়েছেন। তবে তার বেশি কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অনাকাঙ্ক্ষিত বহু লোক সভায় প্রবেশ করায় এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ রকম পরিস্থিতি কোনও ভাবেই পরিকল্পিত নয়।’’ সতুবাবুকে দু’দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত কিছু দিন ধরেই সতুবাবুকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন জেলা কংগ্রেসেরই একটি মহল। কিন্তু এক বছরের মধ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে জেলা কংগ্রেসে রদ-বদল না করে স্থিতাবস্থা রাখার পক্ষে জেলার বিধায়করা। ইতিমধ্যে বৈঠক করে তাঁরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। কিন্তু গত কালের কংগ্রেসের কর্মী-সদস্যদের বৈঠকের পর পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টাতে শুরু করেছে। দলে সতুবাবুর বিরোধীরা আবার নতুন করে আসরে নেমে পড়েছেন।

জেলা কংগ্রেস, ব্লক কংগ্রেস, মণ্ডল কংগ্রেসের পদাধিকারীদের সঙ্গে মত বিনিময় করতে গত কাল করিমগঞ্জে আসেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক সি পি জোশী। করিমগঞ্জের একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সভাস্থলে ৫০০ জনের বসার বন্দোবস্ত থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেখানে অগণিত কংগ্রেস কর্মী ভিড় করে। এমনকী টেট নিযুক্তি না-পাওয়া অনেক তরুণ-তরুণীও কংগ্রেসের সভাস্থলে গিয়ে ভিড় করেন। জোশী চেয়েছিলেন করিমগঞ্জের সভা হবে আরও পাঁচটি সভার চাইতে আলাদা। কেউ কোনও বক্তব্য রাখবেন না। কংগ্রেস কর্মীরা নেতাদের কাছে প্রশ্ন করবেন। তাঁরা উত্তর দেবেন। কিন্তু অত্যধিক ভিড়ে সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যায়। কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ এবং টেট নিযুক্তি থেকে বঞ্চিত প্রার্থীরা এতই হল্লা করেন যে সি পি জোশী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত, বিধায়ক হিমন্তবিশ্ব শর্মা অন্য ঘরে চলে যান। কিন্তু জেলা কংগ্রেসের নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। এক সময় রাগ করেই তাঁরা হোটেল ছাড়েন। করিমগঞ্জেই জোশীর মধ্যাহ্নভোজের কথা ছিল। কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে জোশী এতটাই রেগে যান যে কিছু না খেয়েই তিনি করিমগঞ্জ ছাড়েন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE