ফাইল চিত্র
অভিভাবকদের চাপে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে একটি প্রাথমিক স্কুলে মিডডে মিলের খাবার খেল না খুদে স্কুলপড়ুয়ারা। কারণ, সেই খাবার রান্না করেছেন স্থানীয় এক নিম্নবর্ণের মহিলা। ৭৬ জন পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ছয় জন সেই খাবার খায়। বাধ্য হয়েই রান্না করা রুটি আর আলুর তরকারির পুরোটাই ফেলে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি সীতাপুরের পালহারিয়া গ্রামের। অধিকাংশ গ্রামবাসীই যাদব আর ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের। মিড-ডে মিল রান্না করেছেন স্থানীয় এক নিম্নবর্ণের মহিলা, এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র অভিভাবকরা স্কুলে চড়াও হন। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা গোঁ ধরে থাকেন, দলিত মহিলার রান্না করা খাবার ছেলেমেয়েদের দেওয়া যাবে না। এর পর বাধ্য হয়েই খাবার ফেলে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, স্কুলটিতে প্রতিদিন যিনি রান্না করেন, তিনি যাদব সম্প্রদায়ের। তাঁকে নিয়ে কোনও আপত্তি ছিল না অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের। তিনি কোনও কারণে স্কুলে না আসায় স্থানীয় ‘আরাখ’ সম্প্রদায়ের একজন এ দিন রান্না করেন। নতুন রাঁধুনি দলিত সম্প্রদায়ের। অভিভাবকরা মেনে নিতে পারেননি নতুন রাঁধুনিকে। সেই রোষই এসে পড়ে স্কুলের মিড-ডে মিলের উপর।
আরও পড়ুন: অভিযুক্ত বিশপের পাশে দাঁড়িয়ে ধর্ষিতার চরিত্রেই আঙুল তুললেন বিধায়ক!
পুরো ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছেন প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক ও সমাজকর্মী এস আর দারাপুরি। তাঁর দাবি, নিম্নবর্ণের রাঁধুনির খাবার ফেলে দেওয়া আসলে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করা। কারণ, শিশুমন থেকে জাতপাতের বিভাজন দূর করতে উত্তরপ্রদেশের স্কুলগুলিতে রাঁধুনি পদে নিম্নবর্ণের মহিলাদের নিয়োগ করতে পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও পুরো ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন উত্তরপ্রদেশ শিক্ষা দফতরের কর্তাব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: ‘রায় তো ঠিক আছে, মানসিকতার বদল চাই’
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy