শ্রীকান্ত জেশ্রী। ছবি: ফেসবুক থেকে।
দফতরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই ছবিটা বদলে যায়। দফতরের বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর উপর নানা ভাবে মানসিক চাপ আসতে শুরু করে। সেই চাপ তিনি নিতে পারছিলেন না। আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগের আঙুল তুলে ঘুঁটের ছাই খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেন তামিলনাডু পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর শ্রীকান্ত জেশ্রী।
আরও পড়ুন: কিছুটা উন্নতি হলেও দিল্লির দূষণের হাল বেশ খারাপ
আত্মহত্যার চেষ্টা করার আগে একটি ভিডিও করেন শ্রীকান্ত। সেখানে সব কিছু রেকর্ড করে ফেসবুকে আপলোড করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশ মহল নড়েচড়ে বসে। শ্রীকান্ত তামিলনাড়ুর স্পেশাল পুলিশ ফোর্সের চতুর্থ ব্যাটেলিয়ান-এর সাব-ইনস্পেক্টর। কোভাইপুদুর থানায় কর্মরত। শ্রীকান্তের অভিযোগ, দফতরে দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা প্রায় সবাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে। তাঁকেও দুর্নীতিতে সামিল করার চেষ্টা করা হয়েছে। শ্রীকান্তের দাবি, তিনি ছবি তুলে আইজি-কে পুরো বিষয়টি জানান। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নাকি নেওয়া হয়নি ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তাঁকে জোর করে ১৫ হাজার টাকার একটা ভুয়ো বিলে সই করিয়ে ঘুষ নিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং প্রতি মাসেই তাঁকে দিয়ে এটা করানো হত বলেও দাবি করেন শ্রীকান্ত। এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকার অভিযোগে সুব্রমণি নামে এক আধিকারিকের নামও করেছেন শ্রীকান্ত।
আরও পড়ুন: সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাস, দীঘার কাছে ভাঙল সেতু
ফেসবুক ভিডিওতে শ্রীকান্ত দাবি করেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর থেকেই তাঁকে টার্গেট করা হয়। শাস্তি হিসাবে ১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, যে কাজ তিনি নীতিবিরুদ্ধ বলে মনে করতেন, সে কাজও তাঁকে দিয়ে করানো হত বলে অভিযোগ। এ ভাবে দিনের পর দিন চাপ বাড়তে থাকে তাঁর উপর। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে ওই ভিডিওতে জানিয়েছেন শ্রীকান্ত। শ্রীকান্ত প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তাঁর চিকিত্সা চলছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy