দুই মহলা। ২১২টি স্তম্ভ। দৈর্ঘ্যে ২৬৮ ফুট, প্রস্থে ১৪০ ফুট আর উচ্চতায় ১২৮ ফুট।
অযোধ্যায় এটাই প্রস্তাবিত রামমন্দিরের নকশা। আদালতের বিচারাধীন বলে যার কাজ এখনও শুরুই হয়নি। কবে মিলবে আদালতের ছাড়পত্র, তা জানে না কেউ। অথচ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বক্তব্য, আদালতের ছাড়পত্র মিললে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে রামমন্দির।
কিন্তু ছাড়পত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কী করে এত দ্রুত মন্দির নির্মাণ হবে? এটা সম্ভব? বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দাবি, ‘‘প্রি-ফেব্রিকেটেড প্রযুক্তির মাধ্যমে মন্দির নির্মাণ হবে। আগেই কাঠামোটি তৈরি করা থাকবে। তার পর শুধু একটি পাথরের সঙ্গে অন্যটি যোগ করে দ্রুত নির্মাণ শেষ করা হবে।’’
উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই রাজস্থানের ভরতপুর থেকে ফের পাথর আসা শুরু হয়েছে অযোধ্যায়। অখিলেশ জমানায় যার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ক’দিন আগে এসেছে ২ ট্রাক পাথর। এই দফায় ৩ ট্রাক। যদিও দরকার আরও একশো ট্রাক পাথর। প্রায় ২ লক্ষ কিউবিক ফিট পাথর এখনই জড়ো করে মন্দির নির্মাণের কাজটি অযোধ্যার বিতর্কিত স্থলের একটু দূরেই রামসেবকপুরমে সেরে রাখা হচ্ছে।
কিন্তু সে সব তো পরের কথা। আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের নিষ্পত্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সংসদে আইন করে রামমন্দির নির্মাণের দাবি তুললেও নরেন্দ্র মোদী সরকার এখনও সে ব্যাপারে সক্রিয় হয়নি। অথচ এরই মধ্যে অযোধ্যায় পুরোদমে চলছে মন্দিরের কাঠামো নির্মাণের তোড়জোড়। বাবরি মসজিদ কমিটির আহ্বায়ক জাফরইয়াব জিলানি বলছেন, ‘‘এর মাধ্যমে অযথা উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে।’’ ফৈজাবাদের বাম নেতা সূর্যকান্ত পাণ্ডের কথায়, ‘‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অযোধ্যায় যে ভাবে অনৈতিক গতিবিধি বাড়াচ্ছে, তাতে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। গোটা বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। তার মধ্যেই এ ধরনের কাজ আদালত অবমাননা।’’ যদিও স্বামীর দাবি, ‘‘অযোধ্যায় কিছু এলাকা বিতর্কিত। তার বাইরে কাজে বাধা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy