—প্রতীকী ছবি / সংগৃহীত।
নিরুদ্দেশ হয়ে গেল ভারতীয় বায়ুসেনার একটি সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান। অসমের তেজপুর বিমানঘাঁটির কাছাকাছি এলাকা থেকে যুদ্ধবিমানটি আজ নিখোঁজ হয়েছে। ভারতীয় বাসুয়েনা এবং শোনিতপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। ফাইটার জেটটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার দুই পাইলট ছিলেন। ভারত-চিন সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে যুদ্ধবিমানটি নিখোঁজ হওয়ায় পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির প্রশাসনকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তল্লাশি শুরু হয়েছে নিখোঁজ যুদ্ধ বিমানের সন্ধানে।
বায়ুসেনার এক পদস্থ কর্তা সংবাদমাধ্যমকে এ দিন জানিয়েছেন, রুটিন প্রশিক্ষণের জন্য মঙ্গলবার সকালে উড়েছিল যুদ্ধবিমানটি। তাতে দুই পাইলট ছিলেন। আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পর সেটি রেডারের বাইরে চলে যায়। বায়ুসেনার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে ওই সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানের রেডিও সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই থেকেই বিমানটি নিখোঁজ।
তেজপুর বিমানঘাঁটি থেকে উড়েছিল ফাইটার জেটটি। নিখোঁজ হয়েছে গহপুরের কাছ থেকে।
শোনিতপুরের ডেপুটি কমিশনার মনোজকুমার ডেকা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তেজপুর বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানটি উড়েছিল। বিমানটি যখন গহপুরের কাছাকাছি, তখন তার সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রেডারেও তার খোঁজ মেলেনি। যে এলাকা থেকে যুদ্ধবিমানটি নিখোঁজ হয়েছে, সেটি অসম-অরুণাচল সীমান্তের খুব কাছে। বায়ুসেনা নিজেদের মতো করে তল্লাশি চালিয়ে সন্ধান না পাওয়ার পরেই বিষয়টি শোনিতপুর জেলা প্রশাসনকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের অন্যান্য জেলাগুলিতেও প্রশাসনিক স্তর থেকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। তবে সুখোইয়ের কোনও খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আঘাত হানল ভারত, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক পাক বাঙ্কার
যুদ্ধবিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেটগুলির অন্যতম। ১৯৯০-এর দশকে এই যুদ্ধবিমানগুলি বায়ুসেনার হাতে এসেছিল। তার পর থেকে এ পর্যন্ত ছ’বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে সুখোই। চলতি বছরের ১৫ মার্চ শেষ বার এই যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy