বিহার-মুজফ্ফরপুর, উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে ভোপাল। একের পর এক হোম-কাণ্ড থেকে উঠছে পর্দা। দেশের নানা প্রান্তের বিভিন্ন হোম থেকে লাগাতার শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্টও।
মঙ্গলবার বিচারপতি মদনমোহন লোকুরের বেঞ্চ জানায়, গোটা দেশের বিভিন্ন হোমে অন্তত ১৫৭৫ জন শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ২৮৬ জন ছেলে। একের পর এক উঠে আসা হোম-কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও এ দিন অতিরিক্ত সলিসেটর জেনারেল পিঙ্কি আনন্দের কাছে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
বিহার সরকারের হয়ে এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন আইনজীবী রণজিৎ কুমার। তিনি জানান, টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের তৈরি রাজ্যের হোমগুলির অডিট-রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনায় আপত্তি নেই বিহার সরকারের। এর পরে সেই রিপোর্ট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও।
এ দিনই জাতীয় মহিলা কমিশন জানিয়েছে, ৫৫৯টি সরকার পরিচালিত ‘স্বধার গৃহ’ তথা হোম পরিদর্শন করা হবে। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, প্রাথমিক ভাবে বিহার, কর্নাটক, মিজ়োরাম, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ— এই ৬টি রাজ্যে পরিদর্শন-প্রকল্প নিয়েছে কমিশন।
আগেই শুরু হয়েছিল বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসনের তরফে হোম তদারকি। এ দিন বিহারের বৈশালী জেলা-পুলিশের তরফে জানানো হয়, সেখানকার একটি মহিলা হোমের আবাসিকদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে গতকাল রাতে এক জেলা-প্রশাসন কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বল্প মেয়াদে বসবাসযোগ্য ওই হোমটির দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল মনমোহনকুমার সিংহ নামে ওই ডিস্ট্রিক্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার।
গত ১৯ জুলাই ওই হোমের বেশ কয়েক জন আবাসিক মনমোহনকুমারের নামে উইমেন-লাইনে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন। জেলাশাসক ঘটনায় একটি তদন্ত-কমিটি গঠন করেছিল। দু’দিন আগে তারা রিপোর্ট পেশ করেছে। যার ভিত্তিতে মনমোহনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। প্রিয়ঙ্কা ও করুণা কুমার নামে ওই হোমের দুই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীও এই কাজে জড়িত বলে অনুমান পুলিশের। তাদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy