Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National News

বিহার হোম কাণ্ডে জবাব তলব নাগেশ্বরের, তিরস্কার রাজ্য সরকারকেও

জানতে চাওয়া হল, অনাথ শিশুদের জন্য এমন কতগুলি হোম রয়েছে বিহারে? তাতে মোট কত জন অনাথ শিশু রয়েছে? তারা কী অবস্থায় রয়েছে? তাদের দেখভালের জন্য কতটা, কী অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে?

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:২০
Share: Save:

মুজফ্ফরপুরের একটি সরকারি হোমে অনাথ শিশুদের যৌন নিগ্রহের ঘটনার তদন্ত করছিলেন যে অফিসার, তাঁকে তড়িঘড়ি কেন অন্যত্র বদলি করা হল, তা জানানোর জন্য সিবিআইয়ের সিনিয়র অফিসার এম নাগেশ্বর রাওকে ডেকে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। বলা হল, আদালতে এসে তাঁকে কারণ জানাতে। শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছে বিহার সরকারকেও। কী ভাবে একটি সরকারি হোমে এমন ঘটনা ঘটে, সে ব্যাপারে কৈফিয়ত চাওয়া হল বিহার সরকারের কাছে।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের ছোড়া প্রশ্নবাণে এ দিন কিছুটা থতমত খেয়ে গিয়ে বিহার সরকারের কৌঁসুলি জবাব দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছিলেন আদালতের কাছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত স্পষ্টই জানিয়ে দেয়, আর সময় দেওয়া হবে না। আজই (বৃহস্পতিবার) কৈফিয়ত দিতে হবে বিহার সরকারকে। না হলে আদালত রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করবে। মুজফ্ফরপুরের সরকারি হোমে আবাসিক শিশুদের যৌন নিগ্রহের ঘটনায় ব্রজেশ ঠাকুর-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)।

বিহার সরকারকে তিরস্কার করে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এ দিন বলেছেন, ‘‘যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। সেই সময় নষ্ট করা হয়েছে। অনাথ শিশুদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা আপনারা (বিহার সরকার) করতে পারেন না। এই সব চলতে দিতে পারেন না।’’

আরও পড়ুন- খোলামেলা পোশাকে নাচতে বাধ্য করা হত, তারপর ধর্ষণ! বিহার হোম কাণ্ডে চার্জশিট সিবিআই-এর​

আরও পড়ুন- মুজফ্‌ফরপুর বেসরকারি হোম কাণ্ডে আত্মসমর্পন করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী​

উত্তেজিত হয়ে বিচারপতি গগৈকে এ দিন তার পরেও বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা চাই তাড়াতাড়ি প্রশ্নগুলির জবাব দেওয়া হোক। আজই জবাব দিতে হবে আপনাদের (বিহার সরকার)। না হলে, ডেকে পাঠাব বিহারের মুখ্যসচিবকে। পটনা থেকে দিল্লি দু’ঘণ্টায় আসা যায়।’’

শুধু বিহার সরকারই নয়, এই ঘটনায় এ দিন কেন্দ্রীয় সরকার এবং সিবিআইকেও ছেড়ে কথা বলেনি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। যিনি ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন, সিবিআই-এর সেই যুগ্ম অধিকর্তা এ কে শর্মাকে মাঝপথেই অন্যত্র বদলি হয়ে যেতে হয়। কেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল, কেন্দ্রের কাছে তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি। তিনি জানতে চান, ‘‘ওঁকে (তদন্তের ভারপ্রাপ্ত সিবিআই অফিসার) সরানো যাবে না, সুপ্রিম কোর্ট এ কথা বলার পরেও কী ভাবে অন্যত্র বদলি করা হল ওই তদন্তকারী সিবিআই অফিসারকে?’’

সিবিআইয়ের যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি অফিসারদের বদলির সিদ্ধান্ত নেয়, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ তার কাছে পৌঁছেছিল কি না, নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের উপর মহল থেকে কোনও নির্দেশ এসেছিল, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকেও তা এ দিনই লিখিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে আদালতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE