Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National News

নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজা বহাল রাখল আদালত। গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।

নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজা বহাল রাখল আদালত। গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ১৪:৩০
Share: Save:

নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় আগেই চার জনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সাজাপ্রাপ্ত চার জনের মধ্যে তিন জন একটি রিভিউ পিটিশনে তাঁদের ফাঁসির সাজা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানায়। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি আর ভানুমতি এবং বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি হয়। কিন্তু দোষীদের আইনজীবীরা নতুন কোনও যুক্তিই দিতে পারেননি বলে আদালত সূত্রে খবর। ফলে দোষীদের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতিরা। ফলে আপাতত ফাঁসির সাজাই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।

নির্ভয়া কাণ্ডে নিম্ন আদালত আগেই চার দোষীর ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল। এরপর গত বছরের ৫ মে নিম্ন আদালতের ফাঁসির সাজাই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। দোষীদের মধ্যে মুকেশ (২৯), পবন গুপ্তা (২২), এবং বিনয় শর্মা (২৩) ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানিয়ে গত বছরের নভেম্বরে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে। আর্জিতে তাদের দাবি ছিল, ‘বিচারের নামে ঠান্ডা মাথায় খুন’ করা হচ্ছে। সেই রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। চতুর্থ দোষী অক্ষ্ময় কুমার (২৩) ফাঁসির সাজা বদলানোর আর্জি জানায়নি।

আরও পড়ুন: সাতসকালে জেলের ভিতরে খুন উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার মুন্না বজরঙ্গি

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে বাসের মধ্যে বছর তেইশের তরুণীকে ধর্ষণের পাশাপাশি বেধড়ক মারধর ও নির্মম অত্যাচার করা হয়। তাঁর বন্ধুকে বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। ১৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর অবশেষে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পর দেশ জুড়ে তোলপাড় হয়। রাজধানী দিল্লি-সহ গোটা দেশেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এরকম নৃশংস অত্যাচারের পরও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে ১৬ দিনের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁর নাম হয় ‘নির্ভয়া’।

আরও পড়ুন: সরকারি জমি নেওয়া বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নিখরচায় গরিবদের চিকিৎসা দিতেই হবে: সুপ্রিম কোর্ট

গণধর্ষণের ঘটনায় মোট ৬ জন দোষী ছিল। বাসের কন্ডাক্টর রাম সিংহ বিচারাধীন অবস্থাতেই জেলের মধ্যে আত্মহত্যা করে। আরেক অভিযুক্তের মাত্র কয়েক দিনের জন্য ১৮ বছর বয়স না হওয়ায় জুভেনাইল আদালতে বিচার হয়। তিন বছর হোমে কাটানোর পর ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে সেই নাবালক। বাকি চার জনকে ফাঁসির সাজা দেয় নিম্ন আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE