ফতেপুর সিক্রিতে সুইস যুগলকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পর্যটক যুগলের দাবি মতো, এদের তিন জনই নাবালক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে সব চেয়ে বড় ছেলেটির বয়স ২০।
আক্রান্ত যুগল কোনও অভিযোগ দায়ের না করলেও, পুলিশ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে।
রবিবার, ফতেপুর সিক্রি রেল স্টেশনের কাছে হাঁটার সময় সুইস পর্যটক কোয়েন্টিন জেরেমি ক্লার্ক ও তাঁর বান্ধবী মেরি ড্রোজের পিছু নেয় ওই দলটি। বিদেশিদের প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কটূক্তি করে ও মেরির সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য জোরাজুরি করেতে থাকে তারা। যুগল রাজি না হলে লাঠি ইট প্রভৃতি দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় জেরেমির খুলিতে চিড় ধরেছে।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর এক কানে এত জোরে লেগেছে যে হয়তো সারা জীবন কানে কম শুনতে পারেন তিনি। মেরির হাত ভেঙে গিয়েছে। সারা শরীর জুড়ে কালশিটের দাগ। এতেও শেষ হয়নি হেনস্থা। তাঁরা যখন রাস্তায় শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন, তখনও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি কেউই। বরং উল্টে তাঁদের ভিডিও রেকর্ড করছিল পথচারীরা।
আর এই নৃশংস ঘটনার সময়েই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথও আগরায় তাজ-চত্বরে বিদেশিদের সঙ্গে সেলফি তুলছিলেন। আর সে নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এরই মধ্যে পুলিশের দুই উচ্চপদস্থ কর্তা দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত যুগলের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, কেন্দ্র যোগাযোগ রাখছে সুইৎজারল্যান্ডের দূতাবাসের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy