Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাহুলের অভিযোগের জবাব টাটাদের

সম্প্রতি ন্যানো-র বিক্রি তলানিতে নামায় সেই বিতর্ক আরও উস্কে যায় রাহুল গাঁধীর বক্তব্যে। কিন্তু সেই কারখানার জন্যই টাটাদের ৩০ হাজার কোটি টাকার অনুদান দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

রাহুল গাঁধী।

রাহুল গাঁধী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫৬
Share: Save:

মাসখানেক আগে গুজরাতে ভোটের প্রচারে গিয়ে ন্যানো-র জন্য পরোক্ষে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে টাটাদের বিপুল আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। সেই অভিযোগ খণ্ডন করে টাটাদের দাবি, কোনও অনুদান নয়, গুজরাত সরকারের কাছে থেকে ঋণ পেয়েছে তারা।

ন্যানো প্রকল্প ও টাটাদের নতুন কারখানা ঘিরে গোড়া থেকেই চলেছে রাজনৈতিক তরজা। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর ও পরে গুজরাতের সানন্দে কারখানা স্থানান্তর হলেও বারবারই রাজনৈতিক বিতর্কে উঠেছে ন্যানো-র প্রকল্প। সম্প্রতি ন্যানো-র বিক্রি তলানিতে নামায় সেই বিতর্ক আরও উস্কে যায় রাহুল গাঁধীর বক্তব্যে। গত মাসের গোড়ায় গুজরাতে গিয়ে তিনি দাবি করেন, রাস্তায় ন্যানো গাড়ি এখন আর দেখা যায় না। কিন্তু সেই কারখানার জন্যই টাটাদের ৩০ হাজার কোটি টাকার অনুদান দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

এই সুবিধার কথা মানতে চায়নি টাটা গোষ্ঠী। টাটা-দের দাবি, তাদের কারখানার সম্ভাবনা ও তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখে অনুদান নয়, ঋণ হিসেবে এখটি ‘ইনসেন্টিভ প্যাকেজ’ দিয়েছিল। ঋণের চুক্তি মতোই সেই ঋণ টাটাদের গুজরাত সরকারকে ফেরত দিতে হবে। তাদের যে কর দিতে হয়, সেখান থেকেই ওই ঋণ দেওয়া হয়েছে। এবং এখনও পর্যন্ত টাটা মোটরস-কে রাজ্য সরকার ৫৮৪.৮ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। শুধু টাটারাই নয়, আদানি গোষ্ঠীও তাদের বিরুদ্ধে তোলা কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, চার বছর ধরে খুবই কম দামে গুজরাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চলেছে তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এখন ন্যানো-র যা চাহিদা তাতে সানন্দে কারখানায় দৈনিক গড়ে দুটি করে ন্যানো তৈরি হচ্ছে। যদিও সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, তাদের নতুন দুটি গাড়ি — টিয়াগো ও টিগর-এর বিক্রি অনেক বেশি। কারখানায় এখন বার্ষিক ২.৫০ লক্ষটি (অর্থাৎ, মাসে প্রায় ২১ হাজারটি) গাড়ি তৈরি হতে পারে। ন্যানো, টিয়াগো ও টিগর মিলিয়ে সেখানে মাসে প্রায় ১৫ হাজার গাড়ি তৈরি করছে টাটা মোটরস।

টাটা মোটরস আরও দাবি করেছে, গুজরাত সরকার সেই রাজ্যে লগ্নির যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছিল, তা দেখেই সেখানে কারখানা গ়ড়তে উৎসাহিত হয়েছিল তারা। গুজরাতকে গাড়ি শিল্পের কেন্দ্র বানানোর লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী লগ্নির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সানন্দের কারখানার পরে গুজরাতে আর্থিক উন্নয়ন বেড়েছে। সেই রাজ্য দেশের অন্যতম গাড়ি শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। এ ছাড়া তাদের কারখানায় নতুন লগ্নির জেরে ছোট ও মাঝারি শিল্পেরও প্রসার বেড়েছে বলে দাবি টাটাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE