অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি কিশোরী ছাত্রী। রাগে তার গলা কাটল শিক্ষক। কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে মেয়েটি। তবে গুরুতর জখম হয়েছে। নিজের গলাতেও ব্লেড চালিয়েছে ওই শিক্ষক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলার বাঙ্গারুপেটা এলাকার ঘটনা। স্থানীয় রকওয়েল হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে পাঠরত ১৪ বছরের ওই মেয়েটি। সেখানে হিন্দি পড়ায় ৩০ বছরের শঙ্কর। বেশ কিছুদিন ধরেই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করছিল সে। জোর করছিল বিয়ের জন্য।
মেয়েটির মা-বাবার কাছেও বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন তাঁরা। মেয়েকে জ্বালাতন করতে বারণ করে দেন। তা সত্ত্বেও সংযত হয়নি শঙ্কর। শনিবার বাড়িতে একা ছিল ওই কিশোরী। সেই সুযোগে মত্ত অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে পড়ে শঙ্কর। ব্লেড নিয়ে মেয়েটির উপর চড়াও হয়।
আরও পড়ুন: যমুনার উপর নতুন এই সেতুতে রয়েছে নিজস্বী তোলার জায়গা, জানতেন?
আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে ওই কিশোরী। যা শুনে ছুটে আসেন পড়শিরা। কিন্তু ততক্ষণে মেয়েটির গলায় কয়েকবার ব্লেড চালিয়ে দিয়েছে শঙ্কর। লোকজন দেখে নিজের গলাতেও ব্লেড চালিয়ে দেয় সে। তড়িঘড়ি মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে শঙ্করকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ঘণ্টা শ্রীনিবাস শঙ্করকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy