লাইন লাগাও: পুনর্নির্বাচন চলছে অমদাবাদের এক বুথে। রবিবার। ছবি: পিটিআই।
গুজরাতের ভোটে বিজেপি ইভিএমে কারচুপি করতে পারে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন হার্দিক পটেল। এ বার ফল ঘোষণার আগের দিন বিজেপির বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ আনলেন এই পাতিদার নেতা। রবিবার হার্দিক অভিযোগ করেন, ইভিএম হ্যাকিংয়ের জন্য এক দল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ভাড়া করা হয়েছে।
এ দিনই গুজরাতের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের ছ’টি বুথে পুনর্নিবাচন হয়েছে। বদগাম ও সাভলি কেন্দ্রের দু’টি করে বুথে এবং ভিরামগাম ও দাসক্রোই কেন্দ্রের একটি করে বুথে ফের ভোটগ্রহণ হয়। বদগাম আসন থেকে লড়ছেন জিগ্নেশ মেবাণী। এই ছ’টি বুথের বেশ কয়েকটিতে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। আর কয়েকটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসাদের ইভিএমে ‘মক ড্রিল’ জনিত কিছু ত্রুটির কারণেই এই পুনর্নির্বাচন।
গুজরাতের ভোটে বিজেপি যাতে কোনও রকম কারচুপি করতে না পারে, সেই ব্যাপারে শুক্রবারই টুইটারের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করেছিলেন হার্দিক। আর এ দিন তিনি টুইটারে অভিযোগ করেন, ‘‘অমদাবাদের এক সংস্থার ১৪০ জন ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে ৪,০০০ ইভিএম হ্যাক করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: গুজরাতে ভাল ফল হবে না, বিজেপি সাংসদের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা
ভিশনগর, রাধনপুর, ভাভ এবং বিভিন্ন পাতিদার অধুষ্যিত ও আদিবাসী এলাকায় ইভিএম হ্যাক করার চেষ্টা হয়েছিল বলেও দাবি তাঁর। টুইটারে হার্দিকের যুক্তি, ‘‘যদি ভগবানের সৃষ্টি মানুষের শরীরে বিকৃতি ঘটানো যায়, তা হলে ইভিএমেও কারচুপি সম্ভব। বাস্তবে এটিএম হ্যাক করা যায়। ইভিএমে বিকৃতি ঘটানোও অসম্ভব নয়।’’
এই প্রথম বার নয়, এর আগেও ভোটে কারচুপি নিয়ে টুইটারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হার্দিক। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘গুজরাতে হেরে গেলে বিজেপির পতন শুরু হবে। এক মাত্র ইভিএম কারচুপির মাধ্যমে গুজরাত ভোটে জিততে পারে বিজেপি। কিন্তু কোনও সন্দেহের অবকাশ যাতে না থাকে, সেই জন্য বিজেপি হিমাচলপ্রদেশে হারবে।’’
ইভিএমে কারচুপি করা হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুরাতের কামরেজ বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অশোক জরিওয়ালাও। তাঁর অভিযোগ পাওয়ার পরেই সুরাতের গাঁধী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওয়াই-ফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ভোটে ব্যবহৃত ইভিএম রাখা হয়েছে এই কলেজেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy