কাকা ধর্ষণ করেছে। মায়ের কাছে নিজের কষ্টের কথা খুলে বলেছিল মেয়েটি। পরিবারের লজ্জার কথা জানাজানি হয়ে যাবে, তাই ধর্ষিত হওয়ার পরও তাকেই চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। হালকা বকুনি দেওয়া হয় কাকাকেও। আর তাতেই আরও পেয়ে বসে কাকা। চলতে থাকে মানসিক, শারীরিক নির্যাতন। যত ক্ষণ না আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হল ১৫ বছরের মেয়েটি। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইতে। ৩৬ বছর বয়সী অভিযুক্ত সর্বননকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত সেপ্টেম্বরে কাকিমা শশীকলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল কিশোরী। ওই সময় কাকিমা বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে সর্বনন তার হাতে তুলে দিয়েছিল ঘুমের ওষুধ মেশানো সফট ড্রিঙ্কের গ্লাস। কিছু ক্ষণ পরেই ঝিমিয়ে প়ড়ে ওই কিশোরী। এরপর সর্বনন তাকে শুধু ধর্ষণ করেই থেমে থাকেনি, সেই ভিডিও ফোনে রেকর্ডও করে রাখে সে। এরপর থেকে ক্রমাগত সেই ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে সর্বনন। হুমকি দেয়, মুখ খুললেই প্রকাশ করে দেওয়া হবে ভিডিও। দু’মাস আগে পরিবারের কাছে ধর্ষণের ঘটনা জানায় কিশোরী। এই ঘটনার কথা বাইরের কেউ যাতে জানতে না পারে তাই চুপ করিয়ে দেওয়া হয় তাকেই। এর পরই মাথায় চড়ে বসেছিল কাকা। গত বুধবার বাড়িতে কেউ ছিল না তখন। সেই সময়েই গায়ে আগুন দেয় ধর্ষিতা কিশোরী।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা ঠেকাতে এ বার থেকে সিলিং ফ্যানে সেন্সর, সাইরেন
কিশোরীর বাবা পুলিশকে বলেন, ‘‘ঘটনা শোনার পর আমার মা বলেছিলেন ধর্ষকের সঙ্গেই আমার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে। কিন্তু আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। তবে ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি ও আমার মেয়েকে ব্ল্যাকমেল করে চলেছে।’’ কিশোরীর মা-ও কয়েক দিন ধরে তাকে অবসাদে ভুগতে দেখেছেন। কিন্তু আঁচ করতে পারেননি কী ভয়াবহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সে মেয়ে।
কী ভাবে বার বার জানানো সত্ত্বেও পরিবার তাকে গুরুত্ব দেয়নি তা সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছে কিশোরী, ‘‘যদি আমি বেঁচে থাকি, তা হলে তোমাদের সকলের অসম্মান...।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy