এখন স্থিতিশীল অবস্থা ওই কিশোরের। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
অসুস্থ কিশোরের ব্রেনডেড ঘোষণা করে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এর পর অন্ত্যেষ্টির প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় তার বাড়িতে। বড় ফ্রেমে যত্ন করে বাঁধানো হয়েছিল ছবিও, যাতে মৃতের শান্তি কামনায় মালা দিতে পারেন আত্মীয় স্বজনরা। কিন্তু আচমকাই বেঁচে উঠল সেই ছেলে।
সম্প্রতি তেলঙ্গানার সূর্যপেত জেলার পিল্লালামারি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। ১৮ বছরের ওই কিশোর কলেজ পড়ুয়া। নাম গন্ধম কিরণ। সম্প্রতি ডেঙ্গি এবং জন্ডিসে আক্রান্ত হয় সে। সেই সঙ্গে ধরা পড়ে হেপাটাইটিস বি-ও।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গন্ধমকে হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। গত ৩ জুলাই সেখানে ওই কিশোরের মা সিদাম্মাকে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যে, তাঁর ছেলে ব্রেনডেড। আর কোনও সম্ভাবনা নেই। লাইফ সাপোর্টও খুলে নেওয়ার অনুমতি চান চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ কাশ্মীরে, ভিডিয়ো বার্তায় হুমকি দিল আলকায়দা প্রধান
কিন্তু তাতে রাজি হননি সিদাম্মা। ওই দিনই ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন তিনি। আর মধ্য রাতেই পরিবর্তন লক্ষণ করেন সিদাম্মা। ছেলের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে দেখেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার স্থানীয় চিকিৎসক জি রাজাবাবু রেড্ডিকে খবর দেন। তিনি এসে হায়দরাবাদ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের পরামর্শে বাড়িতেই গন্ধমের চিকিৎসা শুরু হয়। পর পর চারটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তাকে।
সেই দিন থেকেই গন্ধমের পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। ৭ জুলাই তার শারীরিক অবস্থা স্থিশীল অবস্থায় এসে দাঁড়ায়। এই মুহূর্তে সে মায়ের সঙ্গে কথাও বলছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: হবু স্বামীর মৃত্যু বাইক দুর্ঘটনায়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ‘গুড বাই’ লিখে আত্মঘাতী তরুণী
আগে কখনও এমন ঘটনা দেখেননি, তাই গন্ধমের বাড়িতে পাড়া প্রতিবেশিদের ভিড় লেগেই রয়েছে। তবে এই মিরাকেলের যাবতীয় কৃতিত্ব সিদাম্মাকেই দিয়েছেন তাঁরা। ২০০৫ সালে স্বামীকে হারানোর পর, ছেলেই ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠেছিল তাঁর। তাঁর প্রার্থনাই গন্ধমকে নতুন জীবন দিয়েছে বলে দাবি সকলের।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy