প্রতীকী ছবি।
তেলঙ্গানায় দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। তার মধ্যেই এক ছাত্রকে ৯৯ নম্বরের পরিবর্তে শূন্য দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বোর্ড অব ইন্টারমিডিয়েট এডুকেশন (বিআইই)। রবিবারই ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম উমা দেবী। তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। তেলুগু পরীক্ষার খাতা দেখার ভার ছিল তাঁর উপর। অভিযোগ, নব্য নামে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে ৯৯-এর পরিবর্তে ০ দিয়েছেন। উমা দেবীর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে বরখাস্ত করেন।
শুধু উমা দেবীই নন, বিজয় কুমার নামে আরও এক শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে বোর্ড। পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন বিজয়। অভিযোগ, তিনি তাঁর দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করেননি। এত বড় একটা কাণ্ড ঘটতে চলেছে সে বিষয়ে নজরদারি চালাননি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৩ লক্ষ ফেল তেলঙ্গানায়, আত্মঘাতী ২১ জন
আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াচ্ছে ফণী, ১৮৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে বুধবার
গত ১৮ এপ্রিল ওই রাজ্যে দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশিত হয়। ফল প্রকাশের পর দেখা যায় বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীই অকৃতকার্য হয়েছেন। গত ১০ দিনে ২১ জন পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী হন। অভিযোগ ওঠে, ৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ‘ফেল’ করানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে গত সপ্তাহে বিশাল মিছিল বার করেন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, তেলঙ্গানায় দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা তেলঙ্গানা স্টেট বোর্ড অব ইন্টারমিডিয়েট এডুকেশন (টিএসবিআইই) এবং একটি বেসরকারি সংস্থা (গ্লোব অ্যারেনা টেকনোলজিস) ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দিতে গিয়ে ব্যাপক ভুল করেছে।
ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের একটা কমিটি গঠন করেছে বোর্ড। জানিয়েছে, এই ঘটনায় যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy