রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা-মঞ্চই হয়ে উঠল ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচার-মঞ্চ। জমে উঠল বিতর্ক।
আজ আগরতলার এই মঞ্চে হাজির ছিলেন সাফল্যের দুই দাবিদারই। এক দিকে, কেন্দ্রের শাসক বিজেপি। অন্য দিকে, রাজ্যের বাম শাসক দল। বিজেপির নেতা-মন্ত্রী, এবং রাজ্যপালকে যদি কেন্দ্রের প্রতিনিধি ধরা হয়, তবে তিনিও দাবি করলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সদিচ্ছা দূরদৃষ্টির ফলেই প্রত্যন্ত ত্রিপুরাকে সরাসরি রাজধানী নয়াদিল্লির সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হল। পাশাপাশি, মঞ্চে হাজির শাসক জোটের প্রধান শরিক সিপিএমের নেতা-মন্ত্রীরা গলা ছেড়ে দাবি করলেন, তাঁদের ‘দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল’ এই আগরতলা-আনন্দ বিহার (নয়াদিল্লি) রাজধানী এক্সপ্রেস।
স্বাধীনতার ২৫ বছর পর, বাংলাদেশ যুদ্ধের পর আলাদা ত্রিপুরা রাজ্য গঠন হয়েছে ১৯৭২ সালে। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার আগে পর্যন্ত ত্রিপুরায় রেল সম্প্রসারণের কথা কার্যত ভাবাই হয়নি। মোদী সরকার আসার পর, প্রথমে মিটার গেজ তুলে ফেলে দেশের মূল রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে জুড়তে ত্রিপুরায় ব্রড গেজ লাইন বসানো হয়। এরপর সরাসরি মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে বিভিন্ন ট্রেন চালু করে রেল মন্ত্রক। এ বার শুরু হল রাজধানী এক্সপ্রেস।
রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোঁহাই বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে রেল সম্প্রসারণের কাজে ত্রিপুরার অগ্রগতিই সব চেয়ে বেশি। কাজ করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার বুঝিয়ে দিচ্ছে সদিচ্ছা থাকলে সব প্রতিকূলতাই জয় করা সম্ভব।’’ এরপরেই রাজ্যের বাম সরকারের প্রবীণ মন্ত্রী বাদল চৌধুরী দাবি করেন, এ তাঁদের, বামপন্থীদের দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফসল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy