আধার না থাকলে আয়কর রিটার্ন দেওয়া আটকানো বা প্যান বাতিল করা যাবে না বলে গত কালই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র বলল, পরিকাঠামোর অভাবে যাঁরা আধার কার্ড বানাতে পারেননি শুধু তাঁদেরই ছাড় দিতে চায় তারা, সব রকম সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃত ভাবে যাঁরা আধারে নাম লেখাননি, তাঁদের নয়। এই ধরনের লোকেদের ১ জুলাই থেকে সব রকম সরকারি সুবিধা দেওয়া বন্ধ করার পক্ষপাতী কেন্দ্র।
পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ আজ জানিয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই আধার কার্ড রয়েছে তাঁদের আয়কর রিটার্ন বা প্যান বাতিল করার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন নেই। কারণ সুপ্রিম কোর্ট তেমন নির্দেশ দেয়নি। তাঁদের ৩০ জুনের মধ্যে প্যানের সঙ্গে আধার সংযুক্ত করতে হবে এবং আয়কর রিটার্নে আধার নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
গত কাল সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, যাঁদের আধার কার্ড রয়েছে, আয়কর রিটার্ন ও প্যান কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের সেই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। আধার নম্বরের মাধ্যমে গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতিরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে পর্ষদ আজ জানিয়েছে, সর্বোচ্চ আদালত কিছু মানুষকে আংশিক ছাড় দিয়েছে। ফলে যাঁদের আধার বা ‘আধার এনরোলমেন্ট আইডি’ নেই, তাঁরা বাদে বাকিদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়মই বলবৎ হবে।
কোর্টে হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে, দেশের জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশ আধারের আওতায় এসেছে। তাতে সরকারি প্রকল্পে প্রচুর ভুয়ো উপভোক্তা আটকানো গিয়েছে। গত আড়াই বছরে এই খাতে ৪৯ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট তুলে ধরে কেন্দ্রের আর্জি, এর ফলে প্রতি বছর ১১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তাই ৩০ জুনের সময়সীমার উপরে কেউ স্থগিতাদেশ চাইলে তা গ্রাহ্য না করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে আদালতকে। গোপনীয়তা লঙ্ঘনের পাশাপাশি আদালতে আবেদনকারীদের অভিযোগ ছিল, আধারের বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে নাগরিকদের উপরে নজরদারি চালাতে চাইছে কেন্দ্র। সরকারের তরফে স্বাভাবিক ভাবেই সেই দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy