প্রতীকী ছবি।
মেঘালয়ের একশো শতাংশ মানুষ সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র পেয়েছেন বলে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন দাবি করলেও সেখানেই এমন দু’টি গ্রাম রয়েছে, যে গ্রামের বাসিন্দারা সচিত্র পরিচয়পত্র নেননি। সব সরকারি সাহায্যও প্রত্যাখ্যান করেছেন। কোনও ধর্মীয় কারণে নয়, তাঁদের দাবি, স্বনির্ভর এই দুই গ্রামের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন নেই।
শিলং থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে জারোইট ও ১৮ কিলোমিটার দূরে সোহরিনখাম। যে কোনও সরকারি কার্ডেই গ্রামবাসীদের বেজায় অনীহা। তাঁরা রেশন দোকানের চৌহদ্দিও মাড়ান না। সাবেক রেশন কার্ডও নবীকরণ করাননি।
রাজ্য ভোটের আগে জেলা প্রশাসনের কর্মীরা গ্রাম দু’টিতে গিয়ে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তোলার উদ্যোগ নিলেও কৃষিজীবি মানুষগুলি জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের জগতেই খুশি। কাউকে ভোট দেবেন না। কারও সাহায্যও নেবেন না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার ফ্রেডরিক খারকোংগর বলেন, ‘‘একাধিক বার নির্বাচন দফতরের প্রতিনিধিরা ও জেলাশাসক পি এস দখারের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের কর্মীরা ওই গ্রামগুলিতে ভোটার পরিচয়পত্র দিতে গিয়েছিলেন। ওঁদের রাজি করানো যায়নি।’’ অনেক চেষ্টার পরে মোট ১৫০টি পরিবারের মধ্যে ১০০ জন আবেদনপত্র তোলেন। কিন্তু জমা দেননি। সরকার কার্যত জোর করেই ২৫ জনের নাম ভোটার তালিকায় তুলেছে। ওই পর্যন্তই। গ্রামপ্রধানরা জানান, গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে তাঁরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাও করাতে যান না। দেশজ টোটকাই ভরসা। গ্রামের মহিলারাই অন্য মহিলাদের প্রসবের দায়িত্ব নেন। খবর পেয়ে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে দেখেন, প্রসূতি নিজের সদ্যোজাতকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আবার ঘরের কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy