তাণ্ডব: ঝড়ের দাপটে উল্টে গিয়েছে গাছ। সোমবার নয়াদিল্লির বাওয়ানাতে। ছবি: পিটিআই।
ফের ঝড়বৃষ্টি-বজ্রপাতে দেশের পাঁচ রাজ্যে মৃত্যু হল ৭১ জনের। গত কাল দুপুর থেকে শুরু হওয়া প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তছনছ উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, বিহারের বেশ কিছু অংশ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া মন্ত্রক। সোমবার সন্ধ্যা থেকে ফের ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয় কোনও কোনও এলাকায়।
উত্তরপ্রদেশে ঝড়ে ৪২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত ৮৪। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ্মীপুর খেরি। প্রবল হাওয়ায় ভেঙে পড়েছে ৮৪টি বাড়ি। বজ্রপাতে আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছে বেশ কিছু খড়ের ঘর। সম্বল জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩১টি বাড়ি। সরকারি সূত্রের খবর, গাছ উপড়ে ও দেওয়ায় ভেঙে পড়ে বরেলীকে প্রাণ হারিয়েছেন আট জন, কাসগঞ্জে ছয় ও বরাবাঁকি পাঁচ জন। গৌতমবুদ্ধনগরে ব্যানার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। গত কাল রাতেই আক্রান্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়ায় ফের বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
ভারী বৃষ্টিতে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। বাজ পড়ে গত কাল অন্ধপ্রদেশে প্রাণহানি হয়েছে ১২ জনের। শ্রীকাকুলাম জেলায় সাত জন ও কাডাপায় আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে রবিবার রাতে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যর উপমুখ্যমন্ত্রী এন চিনা রাজাপ্পা। উত্তরাখণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ১ জন।
গত কাল ১০৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ধুলোর ঝড় আছড়ে প়ড়ে দিল্লিতে। যার জেরে বিপর্যস্ত রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকা। দমকল বাহিনী জানিয়েছে, ঝড়ে গোটা দিল্লি শহরে প্রায় ২০০ গাছ ভেঙে পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। ঝড়ে থমকে যায় রেল, মেট্রো ও বিমান পরিষেবা। আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আবার আকাশ কালো করে মেঘ করে। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে রাজধানীর তাপমাত্রা এক ধাক্কায় নেমে যায় ২৫ ডিগ্রিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy