সরব: বন্দি মুক্তি এবং কাশ্মীরে স্থিতাবস্থা ফেরানোর দাবিতে এক মঞ্চে বিরোধী নেতারা। যন্তরমন্তরে। পিটিআই
গত কালই ভোটকালীন বিরোধিতা পেরিয়ে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এগোনোর কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ এবং ওই রাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি নিয়ে ডিএমকে-র নেতৃত্বে সমস্ত বিরোধী দলের ধর্নাতেও বিরোধিতার স্বর কিছুটা নরমই রাখল তাঁর দল। ডিএমকে, কংগ্রেস, এসপি, আরজেডি, বামেরা যখন গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরা নিয়ে মঞ্চে উত্তাল, তখন তৃণমূলের তরফে বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখা হল কাশ্মীরের মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার দাবিতেই।
এর আগে বিশেষ মর্যাদা লোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশদে মুখ খোলেননি মমতা। যে পদ্ধতিতে এই বিল সংসদে পাশ করানো হয়েছিল তার তীব্র নিন্দা করেন। আজ ধর্না সভায় যোগ দিতে পাঠানো হয় দলের লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে। ছিলেন ডিএমকে-র টি আর বালু, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাট, এসপি-র রামগোপাল যাদবের মতো নেতারা। দীনেশ আগে বক্তৃতা করে মঞ্চ ত্যাগ করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর দেশের অংশ। সেখানকার নেতাদের আটক করে রাখা হয়েছে। তাঁরা অন্যায় করে থাকলে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু আমাদের জানানো হোক যে তাঁদের অপরাধ কী?’’ মেহবুবা মুফতির মতো নেতাদের কথা উল্লেখ করে দীনেশ বলেন, ‘‘এঁরা তো কাল পর্যন্ত এনডিএ-র সঙ্গে ছিলেন। আজ মেহবুবার মেয়েও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।’’ ১৯৪৭ সালের ১১ ডিসেম্বরের সংবিধান পরিষদের বিতর্ক উল্লেখ করে দীনেশ বলেন, ‘‘সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন বলেছিলেন, সংবিধান আইনজীবীর নথি নয়। ভারতাত্মার প্রতিফলন যেন তাতে থাকে, সেটাই দেখা কর্তব্য। আজ সেই ভারতাত্মার প্রতিফলন দেখতে চাই।’’
বিরোধী দলের তরফে ডিএমকে নেতা টি আর বালুর প্রকাশিত প্রস্তাবে অবিলম্বে জম্মু-কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর কথাও বলা হয়েছে: ‘‘কাশ্মীরে যা করা হয়েছে তা মানুষের মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে। কথা বলা, এক জায়গায় জড়ো হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না সংবাদমাধ্যমকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy