Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

স্ত্রী ঐশ্বর্যকে এড়াতে বারাণসীতে লালু-পুত্র

বাড়িতে সকলে অপেক্ষায় থাকলেও অনেক ক্ষণ কোনও খবর ছিল না তাঁর। বন্ধ ছিল ফোনও। আজ সকালে বাড়িতে ফোন করে জানালেন, বাবা বিশ্বনাথের দর্শন করতে বারাণসীতে পৌঁছেছেন। গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত রাবড়ীদেবীর বাড়িতেই অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি।

স্ত্রী ঐশ্বর্যা রায়কে ডিভোর্স দিচ্ছেন লালুপ্রসাদের বড়ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব।

স্ত্রী ঐশ্বর্যা রায়কে ডিভোর্স দিচ্ছেন লালুপ্রসাদের বড়ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব।

দিবাকর রায়
পটনা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৯
Share: Save:

রাঁচীতে লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরলেন না তেজপ্রতাপ। বাড়িতে সকলে অপেক্ষায় থাকলেও অনেক ক্ষণ কোনও খবর ছিল না তাঁর। বন্ধ ছিল ফোনও। আজ সকালে বাড়িতে ফোন করে জানালেন, বাবা বিশ্বনাথের দর্শন করতে বারাণসীতে পৌঁছেছেন। গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত রাবড়ীদেবীর বাড়িতেই অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি। জামাইকে বোঝাতে চাইছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও কথা শুনতেই রাজি নন তেজপ্রতাপ। স্ত্রী ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে এখনও অনড় তিনি।

বাবা, লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে রবিবার রাতেই রাঁচী থেকে বুদ্ধগয়ায় পৌঁছন তেজপ্রতাপ। শরীর খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। বুদ্ধগয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক মনোজ কুমার হোটেলে এসে তাঁকে পরীক্ষা করেন। তেজপ্রতাপের সঙ্গে ছিলেন চার-পাঁচ জন সঙ্গী। দু’টি ঘর বুক করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে নিয়ে গতকাল তিনটে নাগাদ রওনা দেন তিনি।

গত রাতে পটনায় পৌঁছনোর কথা ছিল তেজপ্রতাপের। তাঁকে ফেরানোর জন্য সমস্ত চেষ্টাই করেছিলেন পরিবারে সকলে। পটনার বাড়িতে ঐশ্বর্যের মুখোমুখি হওয়ারও কথা ছিল তেজপ্রতাপের। দু’পক্ষকে বসিয়ে বিরোধ মেটানোর জন্য আরজেডি নেতারাও উদ্যোগী হন। বুদ্ধগয়ার হোটেলে তেজপ্রতাপের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় আরজেডি বিধায়ক কুমার সর্বজিৎ। তাঁকে পটনা ফিরবেন বলেই জানিয়েছিলেন তেজপ্রতাপ। সর্বজিতের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়েই বারাণসীর পথ ধরেন তেজপ্রতাপ।

মাঝ পথে নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের নামিয়ে দেন। কারণ রাজ্যের অনুমতি ছাড়া নিরাপত্তারক্ষীরা ভিন্‌ রাজ্যে যেতে পারেন না। আপাতত তেজপ্রতাপের সঙ্গে রয়েছেন অভিনন্দন যাদব, লবকুশ যাদব এবং চন্দন কুমার। তেজপ্রতাপের যাবতীয় ধর্মীয় কাজকর্মের সঙ্গী চন্দন। বারাণসী থেকে তেজপ্রতাপ বৃন্দাবনে যেতে পারেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

লালু পারিবারিক অশান্তি প্রকাশ্যে আসায় জেডিইউ তা নিয়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে। দলীয় অনুষ্ঠানে আরজেডি নেতা তেজস্বীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘পরিবার নয়, গরিবদের নিয়ে চিন্তা রয়েছে আমার।’’ এর পরেই জেডিইউ মুখপাত্র সঞ্জয় সিংহের কটাক্ষ, ‘‘বাড়িতে মহাভারত চলছে। আর বাইরে অর্জুন সেজে তির মেরে বেড়াচ্ছেন তেজস্বী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE