সাতকোশিয়া অভয়ারণ্যের সেই ‘সুন্দরী’। ছবি- সংগৃহীত।
‘সুন্দরী’কে বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। তাকে লোভনীয় খাবারদাবার, মাংস আর পুরুষসঙ্গীর টোপ দিয়েও ফাঁদে ফেলা যাচ্ছে না। সে পালিয়ে যাচ্ছে। ঢুকে পড়ছে গভীর পাহাড়ি জঙ্গলে।
কিন্তু তাকে বাগে আনতেই হবে। ঘুম পাড়াতেই হবে, আশপাশের গ্রামগুলির মানুষদের বাঁচানোর জন্য। গত দেড় মাসে অন্তত দু’জন মানুষ খেয়েছে ‘সুন্দরী’। ওড়িশার আন্দুল জেলার সাতকোশিয়া অভয়ারণ্যে। ‘সুন্দরী’কে ঘুম পাড়ানো গেলেই এখন নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবেন ওড়িশার বন দফতরের কর্তারা।
ওড়িশার বন দফতরের পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, দিনদু’য়েক আগে ‘সুন্দরী’কে বাগে এনে ঘুম পাড়ানোর জন্য তাকে মাংসের টোপ দেওয়া হয়েছিল। ডাগরডোগর ছাগল বেঁধে রাখা হয়েছিল অভয়ারণ্যের পাশে কুমরি গ্রামের সীমানায়। ছাগল খেতে এলেই ‘সুন্দরী’কে গুলি করে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার ফন্দি ছিল ওড়িশার বন দফতরের কর্তাদের। ‘সুন্দরী’ সেই ফাঁদে পা দেয়নি। বরং একটা টোপ গিলেও পুরোপুরি গেলেনি ‘সুন্দরী’। বাঘিনীকে বাগে আনার জন্য পুরুষ বাঘের মুত্র ও বিষ্ঠা ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল অভয়ারণ্যে। যাতে সে সবের গন্ধ আর ছাপ দেখে ‘সুন্দরী’ বোঝে, ধারেকাছে তার কোনও পুরুষ সঙ্গী থাকতে পারে। তাতে ‘সুন্দরী’ এসেছিল। কিন্তু সেটা টোপ বুঝে ফেলার পরেই দৌড়ে ঢুকে গিয়েছে বাঘমুণ্ডার গভীর পাহাড়ি জঙ্গলে। আর তার পর থেকেই সেখানে রয়েছে গা-ঢাকা দিয়ে। ফলে, ‘সুন্দরী’কে বাগে আনতে এ বার মধ্যপ্রদেশ সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে ওড়িশা সরকার। ‘সুন্দরী’কে ধরার জন্য তিনটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের বন দফতর। বাঘের সংখ্যা বাড়াতে মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ থেকেই ‘সুন্দরী’কে আনা হয়েছিল ওড়িশায়।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণাবর্ত ফের নিয়ে আসছে বৃষ্টি, রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা কমবে
আরও পড়ুন- বাঘে-মানুষে লড়াই, তবে শেষরক্ষা হল না
ওড়িশার অ্যাডিশনাল প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট সুদর্শন পণ্ডা বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের তিনটি দল পাঠিয়েছিল সুন্দরীকে বাগে আনতে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। কান্হা ন্যাশনাল পার্ক ও পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভ থেকে দু’টি বিশেষজ্ঞ দল ওড়িশায় পাঠাতে রাজি হয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। আশা করছি, দু’-তিন দিনের মধ্যেই ওঁরা সাতকোশিয়া অভয়ারণ্যে এসে সুন্দরীকে ঘুম পাড়ানোর কাজে নামবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy