ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
মায়ের মুখে দু’মুঠো কিছু তুলে দিতে হাসপাতালের এ-ওয়ার্ড থেকে ও-ওয়ার্ডে ঘুরে ভিক্ষা করছে ৬ বছরের একটি মেয়ে। ভাগ্যশ্রী। এক সপ্তাহ ধরে। মায়ের খাবার, ওষুধ, হাসপাতালের খরচ জোগাতে।
ভাগ্যশ্রীর মা দুর্গামা পানাসক্ত হয়ে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে তাঁর দাঁড়ানোরও ক্ষমতা ছিল না। পড়শিরাই তাঁকে ধরাধরি করে নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। ভর্তি করানো হয়েছিল দুর্গামাকে।
ভাগ্যশ্রী হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করছে, সেটা চোখে পড়ে যায় সাংবাদিকদের। কেন ভিক্ষা করছে? জানতে চাইলে ভাগ্যশ্রী বলে, ‘‘আমার বাবা নেই। তাই আমার মাকে ভাল করে তুলতেই হবে। কিন্তু আমার কাছে তো আর টাকা, পয়সা নেই। তাই আমি মাকে খাওয়ানোর জন্য ভিক্ষা করি।’’ ভাগ্যশ্রী শুধু মাকে খাওয়ানোর জন্য ভিক্ষাই করে না, মায়ের কাপড়চোপড়ও পরিস্কার করে দেয়।
আরও পড়ুন- মা-মেয়ের গানে মুগ্ধ নেটিজেনরা
আরও পড়ুন- নিরন্তর ঝগড়া! মেয়ের মাথায় পাথর ছুড়ে খুন করল মা
তীব্র পানাসক্তিতেই জটিল রোগে ভুগছেন দুর্গামা। পড়শিরা বলছেন, পানাসক্তির জন্যই ভাগ্যশ্রীর বাবা দূর্গামাকে ছেড়ে চলে যান। বিয়ে করেন আর এক মহিলাকে।
খবরটা হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছয়। সেখান থেকে খবরটা পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে। সেখান থেকে রাজ্যের মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের কাছে নির্দেশ আসে, যেন খুব ভাল ভাবে চিকিৎসা করিয়ে দুর্গামাকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আর যেন বিনা পয়সায় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ভাগ্যশ্রীর।
রাজ্যের মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা এরান্না পাঞ্চাল বলেছেন, ‘‘খবর নিয়ে জেনেছি, দুর্গামার বাড়ি কারাতাগি সিদ্দাপুরায়। হাসপাতালে যখন ওঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল, খুবই খারাপ অবস্থা ছিল তাঁর। দাঁড়াতেই পারছিলেন না। ওঁর একটি ছেলেও রয়েছে। পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy