প্রতীকী ছবি।
ফের পায়ুপথে সোনা পাচারের চেষ্টা। এ বারেও ঘটনাস্থল গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ বিমানবন্দর, শিলচরের কুম্ভীরগ্রাম ও যোরহাট বিমানবন্দর। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে একই কায়দায় সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল সাত জন। উদ্ধার হল প্রায় আট কিলোগ্রাম সোনার বিস্কুট।
সিআইএসএফ সূত্রে খবর, আজ সকালে ইন্ডিগোর বিমানে গুয়াহাটি থেকে দিল্লি যাওয়ার সময় তল্লাশিতে ধরা পড়ে অঙ্কুশ শেঠি নামে এক যুবক। তার পায়ু থেকে থেকে ৬টি সোনার বিস্কুট মেলে। মায়ানমার থেকে আনা ৯৯০ গ্রাম ওজনের ওই সোনার বাজারদর প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। গত কাল শিলচর বিমানবন্দরে সৈয়দ এম আহামেদ ও আবু বক্কর সিদ্দেক নামে তামিলনাড়ুর দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে সিআইএসএফ। তাদের পায়ু থেকে মোট ২ কেজি ৩২৮ গ্রাম ওজনের সোনার বিস্কুট মিলেছিল। যার বাজার দর ৬২ লক্ষ টাকা। তাদের এক জনের কলকাতা ও অন্য জনের কলকাতা হয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল।
সোমবার কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দরে আরও দু’জনকে ধরে দু’কিলো ৮২০ গ্রাম ওজনের ১৭টি সোনার বিস্কুট মিলেছিল। তার দাম ছিল ৮৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। রবিবার গুয়াহাটি বিমানবন্দরে একই ভাবে সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল দু’জন। অস্ত্রোপচার করে এক কিলো ৬৫০ গ্রাম ওজনের মোট ১০টি সোনার বিস্কুট বের করা হয়।যোরহাটের রৌরিয়া বিমানবন্দরেও সোনাসহ গ্রেফতার হয় দুই ব্যক্তি। তাদেরও পায়ু থেকে ১৪টি বিস্কুট মিলেছে। ধৃতদের নাম পবন চৌহান, সুরেন্দ্র সিংহ চৌহান। উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন দুই কিলোর বেশি।
ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার থেকে সস্তার সোনা ভারতে পাচার করে আনা হচ্ছে। মূলত মিজোরাম ও মণিপুর থেকে ঢোকা সোনা রেল বা বিমানে উত্তর ভারতে পাঠানো হয়। অভিযোগ, মায়ানমার সীমান্ত প্রহরার দায়িত্বে থাকা আসাম রাইফেলসের সঙ্গে যোগসাজসেই সোনা পাচার চলে। এর আগে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট পাচার ও একটি ডাকাতির ঘটনায় মিজোরামে কর্মরত এক কর্নেল ও আট জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy