প্রতীকী ছবি।
স্টেশন ছেড়ে বেরোচ্ছে ট্রেন। আর প্ল্যাটফর্মে মোটরবাইক ছোটাচ্ছেন স্বয়ং ধর্মেন্দ্র! সদ্য জেনেছেন, ‘সুপার এক্সপ্রেসে’ বোমা আছে। তার পর কী করে তিনি ট্রেনে উঠলেন— সে অন্য গল্প।
‘দ্য বার্নিং ট্রেন’ ছবির হিরোর ধাঁচেই গত কাল খেল্ দেখিয়েছেন এক ট্রেনচালক। মোটরবাইকে ধাওয়া করে লাফিয়ে উঠেছেন এক পাগলা রেল ইঞ্জিনে। এত ক্ষণ যেটা গড়াচ্ছিল চালক ছাড়াই। ইঞ্জিন থামিয়ে বিপর্যয় রোখা ভদ্রলোকের নাম জানা যায়নি।
বুধবার বিকেল ৩টে। চেন্নাই-মুম্বই মেল থেমেছে কর্নাটকের গুলবর্গা জেলার ওয়াডী জংশনে। এখানে ডিজেল ইঞ্জিন জুড়তে হয়, কারণ ওয়াডী থেকে মহারাষ্ট্রের শোলাপুর পর্যন্ত বিদ্যুতের লাইন নেই। গাড়ি থেকে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন খুলে অন্য লাইনে রেখে ডিজেল ইঞ্জিন জোড়া হচ্ছিল। হঠাৎ রেলকর্মীরা দেখেন, ইলেকট্রিক ইঞ্জিনটা এগোতে শুরু করেছে। চালকের কেবিনও ফাঁকা!
আতঙ্ক ছড়ায় সমস্ত স্টেশনে। বন্ধ হয় ওই লাইনের আপ-ডাউন সমস্ত ট্রেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাশের রাস্তা বেয়ে তিরবেগে রওনা হয় একটা মোটরবাইক। তাতে সওয়ার এক চালক আর এক রেলকর্মী। ১৩ কিলোমিটার দূরে নালওয়ার স্টেশন। ইঞ্জিন প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিল সেখানে। তবে গতি তখন অনেক কম। মোটরবাইক ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে চলন্ত ইঞ্জিনে উঠে ব্রেক কষে দেন চালক। শেষ হয় দমবন্ধ সাসপেন্স।
রেলের অনেকে বলছেন, ওয়াডী থেকে নালওয়ারের দিকে লাইনটা ক্রমশ ঢালু হয়ে গিয়েছে। সেই প্রাকৃতিক ঢাল বেয়েই হয়তো গড়িয়ে গিয়েছে ফাঁকা ইঞ্জিন। তা হলে কি মেল ট্রেন থেকে ওই ইঞ্জিন খোলার পরে তার চাকায় আর ব্রেক লাগানো হয়নি? ধোঁয়াশা থাকছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy