পার্বত্য ত্রিপুরায় জ্বরের প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে। বেসরকারি সূত্রে খবর, গত সাত দিনে ত্রিপুরার ধলাই জেলার গণ্ডাছড়া মহকুমায় এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের বয়স তিন থেকে আট। একই ভাবে গোমতী জেলার অমরপুরে আড়াই বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে।
যদিও ধলাইয়ের জেলাশাসক বিকাশ সিংহের দাবি, ‘‘গত সাত দিনে ধলাইয়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মাত্র এক জনের মৃত্যু হয়েছে।’’ ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন জন-সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিবিরও করে চলেছে বলে জেলাশাসক জানান। তিনি বলেন, ‘‘জ্বর হওয়ার পরেও সচেনতার অভাবে অভিভাবকরা শিশুটিকে চিকিত্সা কেন্দ্রে আনতে দেরী করছেন। এতেও কোনও কোনও সময়ে রোগীর প্রকৃত চিকিত্সা শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে।’’ ধলাইয়ের পার্বত্য এলাকার গ্রামগুলিতে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে, সে কথা স্বীকার করেই জেলাশাসক আশ্বস্ত করেছেন, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। পরিস্থিতির উপর প্রশাসন নজর রাখছে।’’ জেলা প্রশাসনের দাবি, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ছাড়াও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত গ্রামগুলিতে পাঠানো হচ্ছে। জেলাশাসক নিজেও প্রত্যন্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
পার্বত্য ত্রিপুরা ছাড়াও রাজ্যের সব জেলাতেই ডেঙ্গি, এনসেফেলাইটিস ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আগরতলার জি বি হাসপাতালে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত তিন মাসে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জিবি হাসপাতালে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের ১০ জনের রক্তে এনসেফেলাইটিস এবং তিন জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে বলে জানান জিবি হাসপতালের সুপার সুব্রত বৈদ্য।
এ ছাড়া, কিছু জ্বরাক্রান্ত রোগীর রক্তে ম্যালেরিয়া জীবাণুর সন্ধানও মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy