Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News

সুনীল-এনসি’রা ক্ষুণ্ণ, নাকাল ত্রিপুরা বিজেপি

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ডামাডোলে জেরবার ত্রিপুরায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার। এক দিকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই বেধেছে বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধরের। অন্য দিকে, জোট শরিক আইপিএফটি পথে নেমে পড়েছে পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে।

সন্দীপন চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৮ ০৪:০৯
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে একের পর এক বিতর্ক বাধছে। আবার পৃথক তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে রাস্তায় মিছিলে পা মেলাচ্ছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। জোটসঙ্গীদের মধ্যে গোলমাল থামাতে থানায় পর্যন্ত দৌড়তে হচ্ছে উপমুখ্যমন্ত্রীকে।

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ডামাডোলে জেরবার ত্রিপুরায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার। এক দিকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই বেধেছে বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধরের। অন্য দিকে, জোট শরিক আইপিএফটি পথে নেমে পড়েছে পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে। টাকারজলা, মান্দাই, করবুক-সহ নানা জনজাতি এলাকা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে বিজেপি এবং আইপিএফটি সমর্থকদের মধ্যে গোলমালের। বিজেপির বিধায়ক বুর্বমোহন ত্রিপুরার উপরে হামলার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল যে আইপিএফটি সমর্থকদের, তাঁদের মুক্তির দাবিতে করবুকে পথ অবরোধ করেছে ওই জনজাতি সংগঠন।

দেওধর ইদানীং ত্রিপুরায় থাকছেনই কম। নিজের বেসরকারি সংগঠনের কাজে এখন যেমন তিনি বেঙ্গালুরুতে। তবে এর মধ্যে দু’দিনের জন্য আগরতলায় গিয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেই দিয়েছেন, ‘‘ভোটের প্রচারে রাস্তার যে কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলতে পারতাম। কিন্তু একটা দল সরকারে চলে এলে তার দায়িত্ব হয় কাজ করা। তখন লোকে কাজ দেখতে চায়, প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে কি না দেখতে চায়।’’ নাম না করলেও দেওধরের ইঙ্গিত যে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য-বিতর্কের দিকে, তা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে দেওধরের পরামর্শ নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব তেমন ‘আগ্রহ’ দেখাননি বলেই বিজেপি সূত্রের খবর।

ঘরে টানাপড়েনের মধ্যেই বিজেপির অস্বস্তি বাড়াচ্ছে আইপিএফটি। তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে মিছিলে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং আইপিএফটি-র সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জমাতিয়া। যে প্রসঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার বক্তব্য, ‘‘উনি ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিছিলে গিয়েছেন। ওঁদের তো কিছু রাজনৈতিক দাবি আছে।’’ বিতর্কে আরও ইন্ধন দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে-থাকা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অধীন প্রচার কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে, জনজাতিদের ককবরক ভাষার বদলে হিন্দিতে খবর হলে আরও বেশি মানুষ বুঝবেন, জাতীয়তাবাদও শক্তিশালী হবে!

মীমাংসা খুঁজতে রবিবারই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির মন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহরায় ও এন সি দেববর্মার নেতৃত্বে আইপিএফটি প্রতিনিধিরা। মন্ত্রী তথা আইপিএফটি সভাপতি এন সি বলেন, ‘‘আলোচনা চলছে। এখনও বলার মতো কিছু হয়নি।’’

আর ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা ও সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকারের মতে, ‘‘আমাদের কিছু বলতে হবে না। মানুষই প্রশ্ন তুলবেন, এ সবের জন্যই কি ‘চলো পাল্টাই’?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sunil V. Deodhar Biplab Deb BJP Tripura IPFT
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE