প্রশাসনের কাছে খবর ছিল ছাত্র সংগঠন আসু-র উদ্যোগে ছাত্রেরা বিক্ষোভ মিছিল করবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে সেই মিছিলকে সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছিল সিআরপিএফ। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সেই বিক্ষোভ মিছিলে এক জওয়ানের আচমকা গুলিবর্ষণ করায় মৃত্যু হল দু’জনের। শুক্রবার অসমের নলবাড়ি জেলার ঘটনা। আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, সিআরপিএফ জওয়ানদের অন্তর্কলহের ফলেই এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকে নলবাড়ি জেলার টিহুকে পৃথক মহকুমা ঘোষণার দাবি জানিয়ে মহকুমা প্রস্তুতি পরিষদ ও ছাত্র সংগঠন আসু-র উদ্যোগে অবস্থান-বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভ মিছিলে আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন এক জওয়ান। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ডি সি বরদলৈ নামে সিআরপিএফ-র এক আধিকারিকের। মৃত্যু হয় হিমাংশু তামুলি নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রেরও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অমলকুমার দাস নামে এক জওয়ান তাঁর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে আচমকাই সহকর্মীদের উদ্দেশে গুলি চালাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। গুলিবর্ষণে ঘাবড়ে গিয়ে জওয়ানরা ভাবেন জঙ্গি হানা হয়েছে। তাঁরাও গুলি চালান। কিছু ক্ষণ পর কাবু করা হয় গুলিতে জখম অমলবাবুকে। পুলিশ জানিয়েছে, ব্রজেন বৈশ্য নামে এক ছাত্র, দিগন্ত বনিয়া নামে এক আসু কর্মী এবং চার সিআরপিএফ জওয়ান এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক মৃগেশকুমার বরুয়ারও গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। জখমদের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ, ২৪ রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন ওই সিআরপিএফ জওয়ান।
গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে টিহুর পরিস্থিতি। চলছে জাতীয় সড়কে অবরোধ। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে আসু। পুলিশের পাশাপাশি সিআরপিএফ-ও এই ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার নিন্দা করেছে অগপ, এজেওয়াইসিপি, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy