গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। মারা গিয়েছেন আসাম রাইফেল্স-এর দুই জওয়ান। আসাম রাইফেল্স সূত্রে জানানো হয়েছে, গত কাল মণিপুরের উখরুল জেলার কামজং এলাকায় জওয়ানদের কনভয়ে পিএলএ জঙ্গিরা হামলা চালায়। কোনকান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গিরা প্রথমে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়। কনভয়ের দু’টি গাড়ি থেমে গেলে জঙ্গিরা এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। দুই জওয়ান ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁদের নাম এন কে ডোলি ও বি এন ছেত্রী। এক জওয়ান জখম হন। জওয়ানদের পাল্টা গুলিতে এক জঙ্গি মারা যায়। পরে, আধা সেনার বাহিনী গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত দুই জওয়ান ও এক জঙ্গির দেহ নিয়ে আসে।
অন্য দিকে, মেঘালয়ে বিএসএফের তিনটি গাড়ির কনভয়ের সামনে জিএনএলএ জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। এক জওয়ানের দেহ নিয়ে কনভয়টি তুরার দোবাসিপাড়া সদর দফতরে যাচ্ছিল। তুরা-খেরাপাড়া রোডে জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটালেও জওয়ানরা অল্পের জন্য বেঁচে যান। স্প্লিন্টারের আঘাতে কনভয়ের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে দুই জওয়ান সামান্য জখম হন। মেঘালয়ের পূর্ব গারো পাহাড়ের নেংকরা গ্রামে পুলিশি অভিযানে জিএনএলএ বাহিনীর আঞ্চলিক কম্যান্ডার কিলজান সাংমার মৃত্যু হয়। গত বছর চোকপটে জসপিন নামে এক মহিলাকে পুলিশের চর অভিযোগে বাচ্চাদের সামনে মাথায় গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিল কিলজান। পুলিশের সঙ্গে জিএনএলএ জঙ্গিদের সংঘর্ষ চলে। সঙ্গীরা পালালেও কিলজান মারা পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এ কে ৪৭ রাইফেল, গুলি ও বাংলাদেশি টাকা মিলেছে। শোণিতপুরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই এনডিএফবি জঙ্গি মারা গিয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, গত রাতে বিশ্বনাথ চারিয়ালির লখিপথারে অভিযান চালান জওয়ানরা। ঘটনাস্থলে এ কে ৪৭ রাইফেল, দু’টি গ্রেনেড ও গুলি মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy