—ছবি পিটিআই।
মহারাষ্ট্রের কুর্সি চাই উদ্ধব ঠাকরের।
বছর শেষে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী হবে— বিজেপি সেই শর্ত মানলে তবেই লোকসভায় তাদের সঙ্গে জোটের কথা হবে। তবে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এই শর্তে রাজি নন। এই জটেই এখন স্নায়ুর লড়াই বিজেপি-শিবসেনার। এত দিন বিজেপিকে উঠতে বসতে খোঁচা দিচ্ছিল শিবসেনা, এ বার পাল্টা বিজেপিরও।
গত কালই মহারাষ্ট্রে গিয়ে অমিত শাহ কর্মীদের বলেন, শিবসেনার সঙ্গে জোট হয় তো ভাল, তা না হলে তাদের হারিয়েই ভোটে জিতবে বিজেপি। শাহের হুঁশিয়ারি শুনে আজ সকাল থেকেই আসরে নামে শিবসেনা। টেনে আনে সম্প্রতি বিজেপিতে থেকেও মোদী-শাহের বিরুদ্ধে বেসুরো গাওয়া নিতিন গডকড়ীর বিদ্রোহকে। শিবসেনা বলে— মোদীর পালের হাওয়া কমছে, তাই ত্রিশঙ্কু লোকসভার দিকে তাকিয়ে গডকড়ী প্রস্তুত হচ্ছেন। তিনি ইন্দিরা গাঁধীর প্রশংসা করে ফের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন মোদীর।
শিবসেনার সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যের হারের পরেও শিক্ষা হয়নি বিজেপির। আগেই একলা চলার কথা বলেছি। তার পরেও বিজেপি কেন আমাদের পিছু নিচ্ছে?’’ দিল্লিতে বিজেপির এক সূত্রের বক্তব্য, অমিত এই মাসটি দেখতে চান। তত দিন দুই দলে এমন স্নায়ুর লড়াই চলতেই থাকবে। শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে যে চোখ সরাবে, অন্য দলই ‘দাদা’ হবে।
আরও পড়ুন: বৈষম্য পেরিয়ে অগস্ত্য-পথে কেরলের মেয়েরা
ক’দিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে শিবসেনার লাগাতার হুমকির প্রসঙ্গে মোদী বলেছেন, ‘‘কিছু দল মনে করে আলোচনা করে সমাধান হতে পারে। কিছু দল চায় চাপ দিয়ে আদায় করতে। কিন্তু বিজেপি সকলকেই সঙ্গে নিয়ে চলে।’’ ইঙ্গিত স্পষ্ট, শিবসেনা চাপ দিয়েই নিজেদের শর্তে বিজেপিকে রাজি করাতে চাইছে। কী সেই শর্ত? বিজেপি সূত্র বলছে, শিবসেনা আসলে ফের মহারাষ্ট্রের ‘দাদা’ হতে চায়। বিজেপি এই মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে তাদের থেকে। লোকসভায় গত ভোটের মতো আসন সমঝোতা করতে শিবসেনার আপত্তি নেই। কিন্তু এখনই তাদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে— বিধানসভায় সমান আসনে লড়ে ফল যাই হোক, মুখ্যমন্ত্রী হবে শিবসেনারই। তবে বিজেপি নেতৃত্ব আগাম কথা দিতে নারাজ।
কিন্তু স্নায়ু যুদ্ধের পরিণতি কী? যখন শিবসেনা একলা চলার ঘোষণা করেছে, এখন অমিত শাহও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তা হলে কোন যুক্তিতে আবার দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে?
বিজেপির বক্তব্য, সেই প্রেক্ষাপট খোদ উদ্ধব ঠাকরেই ঘোষণা করে বসে আছেন। সম্প্রতি উদ্ধব অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে আন্দোলন করছেন। স্লোগান তুলেছেন— প্রথমে মন্দির, পরে সরকার। মন্দির নিয়ে অধ্যাদেশ বা আইন আনার চাপ সঙ্ঘ পরিবার থেকেও আছে। মোদী যদি ভোটের আগে এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেন, তা হলে হিন্দুত্বের শর্তে আবার এক হয়ে লড়তে পারে দুই দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy