প্রতীকী ছবি।
অবিলম্বে বাঙালি সংগঠনগুলি নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর দাবি না ছাড়লে এবং বাঙালি সংগঠনগুলির গণ সমাবেশ বাতিল না করলে ফের ১৯৮৩ সালের সন্ত্রাসের দিন ফেরত আনা হবে বলে হুমকি দিলেন আলোচনাপন্থী আলফা নেতা মৃণাল হাজরিকা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রয়োজনে ঘরে ঘরে গিয়ে ভয় দেখানো হবে।’’
আজ বাঙালি সংগঠনের সমাবেশ ও সংশোধনীর বিরুদ্ধে অসম সংগ্রামী মঞ্চের এক সভায় হাজির ছিলেন মৃণাল। তিনি বলেন, ‘‘ভয় না দেখালে বিজেপি-আরএসএস-বাঙালির অশুভ আঁতাত ভাঙবে না।’’ বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেবকেও সাবধান করে মৃণালের হুমকি, ‘‘চিরকাল ওঁর সঙ্গে দেহরক্ষী থাকবে না।’’
মৃণালবাবুর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন বাঙালি সংগঠন। মৃণালবাবু ১৯৮৩ সালে নেলির গণহত্যার কথা মনে করিয়ে বাঙালিদের হুমকি দেওয়ায় বাঙালি যুব ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা চিত্ত পাল বলেন, নরসংহারের ইতিহাস তুলে বাঙালিদের ভয় দেখানো মৃণালবাবু এক সময় নিজেই রণে ভঙ্গ দিয়েছিলেন। যে ভাবে প্রকাশ্যে তিনি বাঙালিদের ভয় দেখাচ্ছেন তাতে সরকারের অবিলম্বে মৃণালবাবুকে গ্রেফতার করা উচিত।
পুজোর আগে গুয়াহাটির শুক্রেশ্বর মন্দিরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরেশ বরুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা দাবি করেছিল, বাঙালিদের ভয় দেখাতেই ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেই ঘটনায় কেউ এখনও গ্রেফতার না হওয়ারও তীব্র সমালোচনা করেন চিত্তবাবু।
অন্য দিকে, সমগ্র বিষয়টি নিয়ে আজ বিধায়ক শিলাদিত্য দেবের নেতৃত্বে নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের নেতারা অসম সাহিত্য সভার সঙ্গে বৈঠক করেন। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিজিৎ মজুমদার বলেন, ‘‘বাঙালি-অসমীয়া দ্বন্দ্ব বাধিয়ে বিজেপি ঘুরপথে বাঙালি ভোট নিশ্চিত করতে চাইছে। এর ফলে আম বাঙালি আরও কোণঠাসা হবে।’’ মৃণাল হাজারিকাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও তিনি জানিয়েছেন।
কংগ্রেসের দাবি, গত ২৫ বছর রাজ্যে অসমীয়া-বাঙালি লড়াই হয়নি। কিন্তু বিজেপির রাজনীতির ফলে ফের সেই দিন ঘনিয়ে আসছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy