—ফাইল চিত্র।
অভূতপূর্ব প্রকাশ্য সংঘাতে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও নয়াদিল্লি। কেন্দ্রে কাশ্মীর।
আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখার রিপোর্টে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার চূড়ান্ত সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে উপত্যকায় অত্যধিক পেশি প্রদর্শন করে অসংখ্য সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। জখমের সংখ্যাও বহু।
এর পরে কিছুটা রীতিবিরুদ্ধ ভাবেই সাউথ ব্লক বিঁধেছে রাষ্ট্রপুঞ্জকে। আর পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘কাশ্মীরের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ভারত যে সেনা দিয়ে দমন করে রেখেছে, ইসলামাবাদ এই দীর্ঘ দিনের দাবিতে আজ রাষ্ট্রপুঞ্জ সিলমোহর দিল।’’
সুষমা স্বরাজের মন্ত্রক বলেছে, ‘ভারত ওই রিপোর্ট প্রত্যাখান করছে। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, প্রতারণাপূর্ণ। এর নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, আমরা জানতে চাই।’ মন্ত্রকের অভিযোগ, অসমর্থিত তথ্যগুলিকেই তুলে ধরা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বিজেপির রাম মাধব যাকে বলেছেন, ‘‘শিশুসুলভ।’’ একই সুরে কংগ্রেসের আহমেদ পটেলও বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্ট। জম্মু-কাশ্মীরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ মানা হবে না।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখার কমিশনার জইদ রাড আল হুসেনের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের হাতে যথাক্রমে নিহত হয়েছেন ১৪৫ জন ও ২০ জন সাধারণ মানুষ। উপত্যকায় গণকবরের তদন্ত, সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবিও তোলা হয়েছে তাতে। জইদ বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিশন বসানো হয়েছে জেনিভায়।
রিপোর্টে অবশ্য বলা হয়েছে, উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে নিরন্তর মদত দিচ্ছে পাক সেনা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বাল্টিস্তানেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy