বিপর্যয়: (১) ভাঙা উড়ালপুলের তলায় আটকে গাড়ি। বাঁচার আর্তি চালকের।
কলকাতার পোস্তার বিপর্যয়ই যেন ফিরে এল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে। নির্মীয়মাণ একটি উড়ালপুল ভেঙে আজ বিকেলে কাশীতে মৃত্যু হল অন্তত ১৮ জনের। বারাণসীর ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনের কাছে ওই উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে পড়ে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১৮টি মৃতদেহ।
বিকেলের ব্যস্ত সময়ে রাস্তা দিয়ে প্রচুর লোকজন ও গাড়ি চলাচল করছিল। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ধ্বংসস্তূপের তলায় অন্তত ৫০ জন আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত ও আহতদের অনেকেই ওই উড়ালপুলের নির্মাণকর্মী। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন এবং লহরতারা এলাকার মাঝামাঝি জায়গায় ভেঙে পড়ে সেতুটির দু’টি স্তম্ভ। কংক্রিটের বিরাট চাঁই আছড়ে পড়ে রাস্তার উপরে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছে চারটি গাড়ি, একটি অটোরিকশা এবং একটি মিনি বাস। দুর্ঘটনার পরে ছবিতে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া একটি গাড়ি থেকে টেনে বার করা হচ্ছে যাত্রীদের। ওই প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘আমি প্রায় ৫০ মিটার দূরে ছিলাম। হঠাৎই ভেঙে পড়ে কংক্রিটের বিরাট চাঁই। আতঙ্কে চিৎকার করছিল সবাই।’’
কংক্রিটের চাঁইয়ের তলায় গাড়ি-সহ পিষ্ট আরোহী। মঙ্গলবার বারাণসীতে। ছবি: পিটিআই
দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫টি দলের ২৫০ জন উদ্ধারকারী। যায় ৯টি থানার পুলিশবাহিনী। উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেছেন, ‘‘এলাকার সব হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও আহতকে যাতে না ফেরানো হয়।’’ দ্রুত উদ্ধারকাজের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক টুইট করে জানিয়েছে, বারাণসীর জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজনাথ সিংহ। মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর টুইট, ‘এত মানুষের প্রাণহানিতে শোকস্তব্ধ। আশা করি আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’ তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশ সরকার পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী দলীয় কর্মীদের উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy