প্রতীকী ছবি।
প্রত্যাশার তালিকায় ছিল এক-জানলা ব্যবস্থায় সব ছাড়পত্রের সুবিধা, থমকে যাওয়া প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা ও মধ্যবিত্ত আবাসনের সংজ্ঞা পাল্টে ৪৫ লক্ষ টাকা দামের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি। শনিবারের কেন্দ্রীয় বাজেট-প্রস্তাবে এর কোনওটাই ঠাঁই পায়নি। ক্রেতাদের ক্ষেত্রে গৃহঋণের সুদ এবং নির্মাণ সংস্থার ক্ষেত্রে আয়করের উপরে কর ছাড়ের সময়সীমা বৃদ্ধি ছাড়া আবাসন শিল্পের জন্য হাত উপুড় করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বাড়ি লেনদেনে সুবিধা দিয়েছে এই বাজেট। সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় বাস্তব দাম পাঁচ শতাংশের বেশি নীচে থাকলে ওই ফারাকের উপরে কর দিতে হত। সেটা ১০% করা হয়েছে। কলকাতার এক নির্মাণ সংস্থার কর্তা নীতেশ কুমারের মতে, এই ধরনের ছাড় বাজার চাঙ্গা করার পক্ষে যথেষ্ট নয়। পরামর্শদাতা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, ২০১৮-র তুলনায় ২০১৯-এর শেষ ছ’মাসে সরবরাহ কমেছে ৫৩%। বিক্রি কমেছে ১২%। শুধু কলকাতাতেই পড়ে আছে প্রায় ৩৩ হাজার ফ্ল্যাট। দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ, চেন্নাইয়েও ছবিটা মলিন।
এই পরিস্থিতিতে আবাসন শিল্প বাজেটের দিকে তাকিয়ে ছিল বলে জানান নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাইয়ের সদস্য সুশীল মোহতা, হর্ষবর্ধন পাটোডিয়া ও সঞ্জয় জৈন। তাঁদের মতে, গত বাজেট আবাসন শিল্পকে অক্সিজেন জুগিয়ে বড় কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিল। ক্রেতাদের জন্য গৃহঋণের সুদের উপরে আয়কর ছাড়ের সীমা বেড়েছিল। কম দামি আবাসনের মাপ বাড়িয়ে আরও বেশি ক্রেতা ও বিক্রেতাকে এই বাজারের আওতায় এনেছিলেন নির্মলা। ৪৫ লক্ষ টাকা বা তার কম দামের বাড়ি কিনলে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদে আয়কর ছাড় দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy