অরুণ জেটলি। ফাইল চিত্র।
শরীর কিছুটা সুস্থ। খুব তাড়াতাড়িই অর্থ মন্ত্রকে কাজে ফিরছেন বলে আজ নিজেই বুঝিয়ে দিলেন অরুণ জেটলি।
প্রায় দু’মাস পরে রবিবার জনসমক্ষে এলেন জেটলি। ভিডিয়ো কনফারেন্সে জিএসটি-র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসে বোঝালেন, খাতায়-কলমে যা-ই হোক, অর্থ মন্ত্রকের আসল রাশ তাঁর হাতেই।
কিডনির সমস্যার জন্য এপ্রিল থেকে অফিসে আসছেন না জেটলি। মে মাসে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। তাঁর অনুপস্থিতিতে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় পীযূষ গয়ালকে। আজ পীযূষ হাজির থাকলেও জিএসটি-র সাফল্য ও আগামী পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুলেছেন জেটলিই। প্রায় বিশ মিনিটের বক্তৃতায় বোঝান, মন্ত্রকের রাশ তাঁর হাতেই।
নরেন্দ্র মোদী চাইছেন, জেটলি দ্রুত সুস্থ হয়ে কাজে ফিরুন। বিজেপি সূত্রের ব্যাখ্যা, একের পর এক উপনির্বাচনে দলের হারে মোদীর জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ‘বিজেপি ইনসাইডার’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে নিয়মিত বিজেপির হাঁড়ির খবর প্রকাশ করা হয়। যা অনেকটা মিলেও যায়। তাতে সম্প্রতি খবর, এ বছরের শেষে বিজেপির তিন নেতা মোদীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন। ওই তিন জনের মধ্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জেটলি থাকুন, তা অবশ্যই মোদী চাইবেন না।
শিল্পমহলের একাংশ জেটলিকে পদ থেকে সরাতে চাইছিল। সুষমা স্বরাজের কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু জেটলির বেলায় পীযূষকে দায়িত্ব দেওয়ায় জল্পনা বেড়েছিল। শিল্পমহলের একাংশের পছন্দের লোক পীযূষ। এর মধ্যে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী নিয়মিত জেটলিকে নিশানা করছেন। কিন্তু জেটলি রাশ আলগা করেননি। ভিডিয়ো কনফারেন্সে অর্থ মন্ত্রকের আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করে, ব্লগ লিখে এমনকি মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার পদ থেকে অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের বিদায় ঘোষণা করে উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। এর ফলে নর্থ ব্লকে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। পীযূষ মন্ত্রী হলেও অর্থমন্ত্রীর ঘরের সামনে জেটলির নামের বোর্ড ঝুলছে। আজ জিএসটি দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চে পীযূষ থাকলেও সকলে আগে জেটলির নাম করেছেন। পীযূষের কথায়, ‘‘আশা করি, উনি শিগগিরই কাজে যোগ দেবেন।’’ মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের ধারণা, অগস্টেই যোগ দিতে পারেন জেটলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy